Bihar Assembly Election 2025

বিহারে আবার ক্ষমতায় ফিরছে নীতীশ-বিজেপির জোট, সব বুথফেরত সমীক্ষায় পূর্বাভাস একই! ‘করুণ দশা’ পিকে-র

ভারতের নির্বাচনী ইতিহাস বলছে, অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের বুথফেরত বা প্রাক নির্বাচনী জনমত সমীক্ষা মেলে না। তবে মিলে যাওয়ার কিছু উদাহরণও রয়েছে। বিহারে প্রকৃত ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:৩০
Exit Poll of Bihar Assembly Election 2025 predicts win for NDA

(বাঁ দিকে) নীতীশ কুমার এবং নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

কিছু আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা। তবে বিহারের বিধানসভা ভোটে সামগ্রিক ভাবে আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের ‘মহাগঠবন্ধন’-এর তুলনায় বেশ কিছুটা এগিয়ে এনডিএ। মঙ্গলবার দ্বিতীয় তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণের পরে অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষাতে এমনই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যদিও ভারতের নির্বাচনী ইতিহাস বলছে, অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের বুথফেরত বা প্রাক নির্বাচনী জনমত সমীক্ষা মেলে না। তবে মিলে যাওয়ার কিছু উদাহরণও রয়েছে।

Advertisement

২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২২টি আসন। প্রায় সবক’টি বুথফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত এনডিএ-র পাঁচটি দল (জেডিইউ, বিজেপি, লোক জনশক্তি পার্টি রামবিলাস, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা এবং রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা) মিলে অনায়াসে সেই জাদুসংখ্যা ছুঁয়ে ফেলবে। কয়েকটি সমীক্ষায় ‘মহাগঠবন্ধন’-কে ১০০-র বেশি আসন দেওয়া হয়েছে। আবার কয়েকটির দাবি, তেজস্বী যাদবদের জোটের ‘দৌড়’ দু’অঙ্কেই থেমে যেতে পারে। অন্য দিকে, শোচনীয় ফল হতে পারে প্রাক্তন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের দল জনসুরাজ পার্টি (জেএসপি)-র।

Exit Poll of Bihar Assembly Election 2025 predicts win for NDA

গত ৬ নভেম্বর প্রথম দফায় বিহারের ১৮টি জেলার ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রথম দফায় ভোট পড়েছিল ৬৫.০৮ শতাংশ। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় ২০টি জেলার ১২২টি বিধানসভা আসনে ভোটের হার নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক হিসাবেই ৬৭ শতাংশ পেরিয়ে গিয়েছে। বিহারের লোকসভা-বিধানসভা ভোটের ইতিহাসে যা সর্বকালীন রেকর্ড। সাধারণ ভাবে বিপুল ভোটদানের হার ‘প্রতিষ্ঠানবিরোধী’ হয়। কিন্তু বিহারে তা প্রতিষ্ঠানমুখী হতে চলেছে বলেই বিভিন্ন বুথফেরত সমীক্ষার দাবি। পূর্বাভাস, যুযুধান দুই জোটের ভোটের ব্যবধান তিন শতাংশের কাছাকাছি হতে পারে। হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম) পাঁচটি দখল করেছিল। এ বার তাদেরও আসন কমার সম্ভাবনা।

Advertisement
আরও পড়ুন