Alliance in NCP

মহারাষ্ট্রে আবার শরদ-অজিত ঐক্য! পুরভোটে দুই এনসিপির আসনরফা, প্রতিবাদে দলত্যাগ প্রাক্তন মেয়রের

বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র শরিক অজিতের সঙ্গে হাত মেলানোর প্রতিবাদে এনসিপি (শরদ) ছেড়ে শুক্রবার কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন পুণের প্রাক্তন মেয়র প্রশান্ত জগতাপ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:৩২
(বাঁ দিকে) অজিত পওয়ার এবং শরদ পওয়ার (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) অজিত পওয়ার এবং শরদ পওয়ার (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

বিদ্রোহ এবং বিজয়ের পরে এ বার ভাইপো অজিত পওয়ার কাকা শরদের সঙ্গে সমঝোতার পথে! পুণে এবং পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড়ের আসন্ন পুরভোটে এ বার দুই এনসিপি আসন সমঝোতা করায় পুনর্মিলনের জল্পনা দানা বেঁধেছে। যদিও তার ফলে নতুন করে ধাক্কা লেগেছে শরদ গোষ্ঠীতে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র শরিক অজিতের সঙ্গে হাত মেলানোর প্রতিবাদে এনসিপি (শরদ) ছেড়ে শুক্রবার কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন পুণের প্রাক্তন মেয়র প্রশান্ত জগতাপ।

Advertisement

২০২৩ সালের ২ জুলাই এনসিপিতে বিদ্রোহ ঘটিয়ে শরদের অমতেই বিজেপির হাত ধরেন অজিত। মহারাষ্ট্রে একনাথ শিন্দের শিবসেনা এবং বিজেপির জোট সরকারের শরিক হয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী হন। অজিতের বিদ্রোহের পরেই এনসিপির অন্দরের সমীকরণ বদলে গিয়েছিল। অজিত-সহ ন’জন বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কের মন্ত্রিত্ব এবং ভাল দফতর লাভের পরে পরিষদীয় দলের অন্দরে ক্রমশ তাঁর শিবিরের পাল্লা ভারী হতে থাকে। সাংসদদের একাংশও তাঁর দিকে যান।

শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে এনসিপির নিয়ন্ত্রণ যায় অজিতের হাতেই। দলের নাম নির্বাচনী প্রতীক ঘড়ির তাঁর গোষ্ঠীর জন্যই বরাদ্দ করা হয়। শরদের নেতৃত্বাধীন এনসিপি পরিচিত হয় এনসিপি (শরদচন্দ্র পওয়ার) নামে। নির্বাচনী প্রতীক হয় ‘তুতারি’ (পশ্চিমি বাদ্যযন্ত্র ট্রাম্পেটের মরাঠি সংস্করণ)। নাম ও প্রতীক হারিয়েও ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বাজিমাত করেছিলেন শরদ। জিতেছিলেন আটটি আসনে। অন্য দিকে, চারটিতে লড়ে অজিতের দল জিতেছিল মাত্র একটি আসনে। বারামতী কেন্দ্রে অজিতের স্ত্রী সুনেত্রা পওয়ার হেরে যান শরদ-কন্যা সুপ্রিয়ার কাছে।

এর পর সঙ্ঘ পরিবার এবং বিজেপির অন্দরে অজিতকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু লোকসভা ভোটের ছ’মাসের মাথাতেই মরাঠা রাজনীতিতে চমকপ্রদ প্রত্যাবর্তন ঘটে অজিতের। তাঁর নেতৃত্বাধীন এনসিপি ৫৯টিতে লড়ে জেতে ৪১টিতে। অন্য দিকে, ৮৬টি বিধানসভা আসনে প্রার্থী দিয়ে এনসিপি (শরদ)-র ঝুলিতে মাত্র ১০! কিন্তু মন্ত্রিত্ব বণ্টন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের সরকারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় অজিতের। এই পরিস্থিতিতে গত কয়েক মাস ধরে নতুন করে শরদ-অজিত ঐক্য ঘিরে আলোচনা শুরু হয়েছে। পুণের পুরভোটে ফডণবীসের বিজেপি আলাদা লড়ার ঘোষণা করার পরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে আসন সমঝোতা করেছে দুই এনসিপি।

Advertisement
আরও পড়ুন