Defence Ministry of India

ভারতীয় সেনার ড্রোনে চিনা যন্ত্রাংশ বসিয়ে নজরদারি? সন্দেহ হতেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশিকা

মূলত সাইবার হানা রুখতেই এমন পদক্ষেপ বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে। ওই সূত্রের দাবি, চিনা প্রস্তুতকারক সংস্থার তৈরি ড্রোন-যন্ত্রাংশে ‘সাইবার ভালনারেবিলিটিস’ রয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৫ ১৫:০৭
Framework to restrict Chinese components in drones of Indian Armed Forces submitted to defence ministry

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কেনার উপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছিল গত মাসেই। এ বার জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ভারতীয় সেনার ব্যবহৃত ড্রোনে চিনা যন্ত্রাংশের উপস্থিতি রুখতে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। বিশেষজ্ঞদের দিয়ে এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও তৈরি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।

Advertisement

মূলত সাইবার হানা রুখতেই এমন পদক্ষেপ বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে। ওই সূত্রের দাবি, ভারতীয় সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীগুলি একটি দেশীয় সংস্থার থেকে নজরদারি ড্রোন কেনে। ওই সংস্থাটি তাদের তৈরি ড্রোনে চিনা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ ওঠার পরেই ফ্রেব্রুয়ারিতে এ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।

বিষয়টি সরাসরি স্বীকার না করলেও ‘আর্মি ডিজ়াইন ব্যুরো’র প্রধান মেজর জেনারেল সিএস মান জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে ৮৪০টি ড্রোন নির্মাণ কোম্পানি রয়েছে। কিন্তু তারা মূলত ‘ইন্টিগ্রেটর’। অর্থাৎ বিদেশি যন্ত্রাংশ আমদানি করে সেগুলি জুড়ে (অ্যাসেম্বল) ড্রোন নির্মাণ করে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এমন ড্রোন ব্যবহার করা ‘বিপজ্জনক’ বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা।

চিনা প্রস্তুতকারক সংস্থার তৈরি ড্রোন-যন্ত্রাংশে ‘সাইবার ভালনারেবিলিটিস’ রয়েছে বলে এর আগে অভিযোগ উঠেছিল আমেরিকাতেও। মার্কিন সেনার ব্যবহৃত নজরদারি ড্রোনে চিনা যন্ত্রাংশের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল কয়েক বছর আগেই। নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, চিনা ড্রোন-যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক সংস্থা এসজেড ডিজেআই টেকনোলজি-র অ্যাপ্লিকেশন আনইনস্টল করতে হবে, এমনকি ব্যাটারি ও স্টোরেজ মিডিয়া ড্রোন থেকে খুলে আলাদা করে রাখতে হবে। এ বার সেই পথে হাঁটতে চলেছে ভারতও।

Advertisement
আরও পড়ুন