Hostage in Libya

পর্তুগালে যেতে চেয়েছিলেন গুজরাতের দম্পতি, লিবিয়ায় পৌঁছোতেই অপহৃত! দাবি, দু’কোটি মুক্তিপণে

পুলিশের মতে, গত ২৯ নভেম্বর অহমদাবাদ থেকে দুবাইয়ের বিমানে ওঠেন ওই দম্পতি। সেখান থেকে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় লিবিয়ার বেনগাজি শহরে। অভিযোগ, সেই শহরে পৌঁছোতে পরিবারের তিন সদস্যকে অপহরণ করা হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০৩
Gujarat couple held hostage in Libya

ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

লিবিয়ায় বন্দি গুজরাতে দম্পতি। সঙ্গে রয়েছে তাঁদের তিন বছরের কন্যাসন্তানও। সংবাদসংস্থা পিটিআই এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, অপহরণকারীরা দু’কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে!

Advertisement

জানা গিয়েছে, কিসমতসিংহ চাভদা, হিনাবেন এবং তাঁদের কন্যা দেবাংশি গুজরাতের মেহসানার বাদলপুরা গ্রামের বাসিন্দা। সেখানকার পুলিশ সুপার হিমাংশু সোলাঙ্কি জানান, এই পরিবার ইউরোপীয় দেশে স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে চেয়েছিল। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় পর্তুগালের এক এজেন্টের। পরিকল্পনা করে গুজরাত থেকে রওনা দেয় তারা। তাদের বলা হয়েছিল, পর্তুগালে বন্দোবস্ত করে দেওয়া হবে। সেই আশায় বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে লিবিয়ায় অপহৃত হন তিন জন।

পুলিশের মতে, চাভদা পরিবার গত ২৯ নভেম্বর অহমদাবাদ থেকে দুবাইয়ের বিমানে ওঠে। সেখান থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় লিবিয়ার বেনগাজি শহরে। অভিযোগ, সেই শহরে পৌঁছোতে পরিবারের তিন সদস্যকে অপহরণ করা হয়। তার পরে মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।

হিমাংশু জানান, অপহরণকারীরা মেহসানায় কিসমতদের পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তাঁদের কাছে দু’কোটি টাকা দাবি করা হয়। বিষয়টি থানায় জানাতে তৎপর হয় পুলিশ। মেহসানার জেলাশাসককে সবিস্তারের ঘটনাটি জানানো হয়। স্থানীয় বিধায়ক সিজে চাভদা এ ব্যাপারে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্য এবং কেন্দ্রের কাছে বিষয়টি আমি জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত কোনও না কোনও পথ বার হবে।’’ জেলাশাসক প্রজাপতি জানান, অপহৃতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি বিদেশ মন্ত্রকের নজরে আনা হয়েছে, জানান তিনি।

গত অক্টোবরেও গুজরাতের গান্ধীনগরের দুই গ্রামের দুই পরিবারের চার সদস্যের সঙ্গেও একই জিনিস ঘটেছিল। তাঁদের অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হবে, এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু আদৌ তা হয়নি। তাঁদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ইরানে। অভিযোগ, সেখানে সকলকে বন্দি করে রাখা হয়। পরে ভারত সরকারের হস্তক্ষেপে মুক্তি পান তাঁরা।

Advertisement
আরও পড়ুন