Waqf Property in Gujarat

ভুয়ো পরিচয়ে ওয়াকফের জমিতে তৈরি দোকান থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ! গুজরাতে গ্রেফতার পাঁচ

ওয়াকফের জমিতে বেআইনি ভাবে দোকান এবং ঘরবাড়ি তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে। তাঁরা ওয়াকফ ট্রাস্টের সদস্য বলে নিজেদের পরিচয় দিয়ে ওই বেআইনি নির্মাণগুলি ভাড়া দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করতেন বলে অভিযোগ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:০০
ওয়াকফ ট্রাস্টের সদস্যের পরিচয়ে দোকান ভাড়া দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগে গুজরাত গ্রেফতার পাঁচ জন।

ওয়াকফ ট্রাস্টের সদস্যের পরিচয়ে দোকান ভাড়া দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগে গুজরাত গ্রেফতার পাঁচ জন। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ওয়াকফ ট্রাস্টের জমিতে তৈরি হওয়া দোকান এবং ঘরবাড়ি থেকে ভুয়ো পরিচয়ে টাকা তোলার অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের অহমদাবাদে। গুজরাতের ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে নিবন্ধীকৃত (রেজিস্টার্ড) অহমদাবাদের দু’টি ট্রাস্টের সদস্য বলে নিজেদের পরিচয় দিতেন অভিযুক্তেরা। এই পরিচয় ভাঁড়িয়ে গত ১৭ বছর তাঁরা সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বাড়ি এবং দোকানের জন্য ভাড়া তুলছিলেন বলে অভিযোগ। ওই দু’টি ট্রাস্টের জমিতে তৈরি হওয়া প্রায় ১০০টি বাড়ি এবং দোকান থেকে তাঁরা ভাড়া আদায় করতেন বলে অভিযোগ। এই মর্মে অহমদাবাদের গায়কোয়াড় হাভেলি থানায় এফআইআর রুজু হয়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

অহমদাবাদের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ভরত রাঠৌর জানান, ওই দুই ট্রাস্টের অধীনস্থ পাঁচ হাজার বর্গফুটেরও বেশি জমিতে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে ওই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে। সেখানে তাঁরা প্রায় ১০০টি বাড়ি এবং দোকান তৈরি করেন। ২০০৮ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ওই অবৈধ নির্মাণগুলি ভাড়া দিয়ে তাঁরা টাকা আদায় করতেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ওয়াকফ সম্পত্তিকে অভিযুক্তেরা ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। অহমদাবাদের ওই পুলিশকর্তা জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে এক জনের বিরুদ্ধে অতীতেও অপরাধমূলক কার্যকলাপের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে অস্ত্র আইনেও একটি মামলা রয়েছে।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে অভিযুক্তেরা কেউই ওয়াকফ ট্রাস্টের সদস্য নন। ওই দু’টি ট্রাস্টের মধ্যে একটির জমিতে আগে একটি স্কুল ছিল। ২০০১ সালের ভূমিকম্পের সময়ে ওই স্কুল ভবনের বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়। পরে ২০০৯ সালে স্কুলটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে অহমদাবাদ পুরসভা। পুরনো ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়। অভিযোগ তার পরেই এই অভিযুক্তেরা সেখানে বেশ কিছু দোকান বেআইনি ভাবে তৈরি করেন। তার মধ্যে একটি দোকান ঘরকে এক অভিযুক্ত নিজের দফতর বলেও ব্যবহার করতেন।

Advertisement
আরও পড়ুন