—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বর্তমানে ইউজিসি-র পরিধির মধ্যে থেকে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি যে সামান্য স্বাধীনতা পেত, তাও কেড়ে নিতেই বিকশিত ভারত শিক্ষা অধিস্থান বিল, ২০২৫ আনা হচ্ছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান দাবি করেছেন, এই আশঙ্কা ঠিক নয়। তবে এ নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৩১ সদস্যের কমিটি আসন্ন বাজেট অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহে ওই রিপোর্ট সংসদে জমা দেবে।
গত কালই লোকসভায় ওই বিল পেশের পর বিরোধীরা বলেন, ওই বিল আনা হলে উচ্চশিক্ষার খরচই কেবল বাড়বে তা নয়, পাঠ্যক্রমের বাইরে যাওয়ার সাহস দেখালে সংশ্লিষ্ট উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তির ইঙ্গিত রয়েছে। তেমনি সরকার বিরোধী লেখনী ছাপা হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, তা বন্ধও করে দেওয়া হতে পারে। বিরোধীদের মতে, কোনও প্রতিষ্ঠানের টিকে থাকা যখন নিয়ন্ত্রকের মর্জির উপর নির্ভরশীল হয়ে ওঠে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি উদ্ভাবন, ভিন্নমতের প্রকাশ এড়িয়ে চলতে চাইবে। যদিও শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, ‘‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা কিংবা নিজস্ব চিন্তাভাবনা কেড়ে নেওয়ার প্রশ্নই নেই।’’
বিলে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), সর্বভারতীয় কারিগরি শিক্ষা পর্ষদ (আইসিটিই), জাতীয় শিক্ষক প্রশিক্ষণ পর্ষদ (এনসিটিই)-এর পরিবর্তে একটিই নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করা হবে। ওই নিয়ন্ত্রক সংস্থার সদস্য হবেন ১২-১৫ জন।