Indus Water Treaty

পাকিস্তানকে চাপে ফেলতে সিন্ধুর উপনদে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ, বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণ চাইল ভারত

জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তওয়ার জেলায় কাওয়ার বাঁধ বানানোর জন্য বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে ৩১১৯ কোটি টাকা ঋণ চেয়েছে ভারত। সেখানে গ্রিনফিল্ড স্টোরেজ এবং ৫৪০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করা হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫ ২৩:৫৭

—ফাইল চিত্র।

পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরেই ইসলামাবাদের উপর চাপ বাড়াতে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করেছিল নয়াদিল্লি। সংঘর্ষবিরতির পরেও তা পুনর্স্থাপন করা হয়নি। এ বার নরেন্দ্র মোদী সরকার পাকিস্তানকে আরও বিপাকে ফেলে সিন্ধুর উপনদ চন্দ্রভাগায় (চেনাব) বাঁধ নির্মাণে উদ্যোগী হল।

Advertisement

জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তওয়ার জেলায় কাওয়ার বাঁধ বানানোর জন্য বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে ৩১১৯ কোটি টাকা ঋণ চেয়েছে ভারত। সেখানে গ্রিনফিল্ড স্টোরেজ এবং ৫৪০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করা হবে। প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতাতেই ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং তৎকালীন পাক প্রেসিডেন্ট জেনারেল আয়ুব খানের মধ্যে সিন্ধু নদীর জল বণ্টন সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়েছিল।

জলের নিরিখে সিন্ধু এবং তার শাখা ও উপনদী মিলিয়ে ৩০ শতাংশ ভারত ও ৭০ শতাংশ পাকিস্তান পাবে বলে চুক্তিতে বলা হয়েছিল। ওই চুক্তি অনুযায়ী, পূর্ব দিকের তিনটি নদী, অর্থাৎ বিপাশা (বিয়াস), ইরাবতী (রাভি) ও শতদ্রু (সতলুজ়)-র জলের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে ভারতের। অন্য দিকে, পশ্চিমমুখী সিন্ধু (ইন্ডাস), চন্দ্রভাগা (চেনাব) ও বিতস্তার (ঝিলম) জল ব্যবহার করতে পারবে পাকিস্তান। তবে পশ্চিমের তিন নদীর জলের উপর অধিকার না থাকলেও চুক্তি অনুযায়ী তা থেকে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাধা নেই ভারতের। তাই চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন না করেই চন্দ্রভাগার উপর বাঁধ নির্মাণের অধিকার রয়েছে নয়াদিল্লির।

Advertisement
আরও পড়ুন