Pakistan Espionage

পাক গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দিতেন গোপন তথ্য! জম্মু-কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার ভারতীয় সেনার জওয়ান

অভিযুক্ত যুবকের নাম দেবেন্দ্র সিংহ। সঙ্গরুর জেলার নিহালগড় গ্রামের বাসিন্দা দেবেন্দ্র ভারতীয় সেনায় কর্মরত। অভিযোগ, পাকিস্তান গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স-এর (আইএসআই) হাতে গোপন সামরিক তথ্য তুলে দিতেন দেবেন্দ্র।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৫ ১৪:২২

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন নথি পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগে ধরা পড়লেন ভারতীয় সেনার জওয়ান! চলতি সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার উরি থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পঞ্জাব পুলিশের স্টেট স্পেশাল অপারেশন সেল (এসএসওসি)।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম দেবেন্দ্র সিংহ। পঞ্জাবের সঙ্গরুর জেলার নিহালগড় গ্রামের বাসিন্দা দেবেন্দ্র ভারতীয় সেনায় কর্মরত। অভিযোগ, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স-এর (আইএসআই) হাতে গোপন সামরিক তথ্য তুলে দিতেন দেবেন্দ্র। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ১৪ তারিখ গভীর রাতে উরি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আপাতত তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে প্রাক্তন সেনাসদস্য গুরপ্রীত সিংহ ওরফে গুরি ওরফে ফৌজিকে আটক করেছিল পুলিশ। এখনও ফিরোজ়পুর জেলে রয়েছেন তিনি। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার ধরা পড়লেন আর এক সেনা সদস্য। পুলিশ সূত্রে খবর, গুরপ্রীতকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, সেনার সংবেদনশীল ও গোপন নথিপত্র জোগাড় করায় জড়িত ছিলেন দেবেন্দ্রও। পরে সে সব নথি আইএসআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, দেবেন্দ্র এবং গুরপ্রীতের প্রথম দেখা হয়েছিল ২০১৭ সালে পুণের একটি সেনা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে। সেই সময় থেকেই যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন তাঁরা। ঘটনাচক্রে দু’জনেরই প্রথমে সিকিম ও পরে জম্মু-কাশ্মীরে পোস্টিং হয়। দুই জায়গাতেই তাঁরা একসঙ্গে কাজ করেছিলেন। তখন থেকেই নানা গোপন সামরিক তথ্য জোগাড় করে পাচার করা শুরু করেন দুই বন্ধু।

পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাক গুপ্তচরদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মলহোত্রা। তার পর থেকে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে একের পর এক নাগরিক ধরা পড়েছেন। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন সরকারি কর্মচারি, ইনফ্লুয়েন্সার, শিক্ষক-সহ একাধিক পেশার মানুষ। সেই তালিকায় দেবেন্দ্র সর্বশেষ সংযোজন। ১৫ জুলাই মোহালির একটি আদালতে হাজির করানোর পর তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। কী কী তথ্য পাচার করা হয়েছে এবং এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, তা-ও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement
আরও পড়ুন