INS Androth

বঙ্গোপসাগরে চিনা ডুবোজাহাজের মোকাবিলায় নতুন ‘অস্ত্র’, ভারতীয় নৌসেনায় আইএনএস অ্যান্ড্রোথ

২০৩৫ সালের মধ্যে ভারতীয় নৌসেনার হাতে যাতে ২০০টিরও বেশি যুদ্ধজাহাজ এবং সাবমেরিন (ডুবোজাহাজ) থাকে, সে বিষয়ে সক্রিয় হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:৪৬
Indian Navy commissions Anti-Submarine Warfare vessel INS Androth in Visakhapatnam

ডুবোজাহাজ ধ্বংসকারী দ্বিতীয় যুদ্ধজাহাজ হাতে পেল ভারতীয় নৌসেনা। সোমবার অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের পূর্বাঞ্চলীয় নৌ কমান্ডের সদর দফতরে কমিশনিংয়ের মাধ্যমে ভারতীয় নৌসেনায় যোগ দিল আইএনএস অ্যান্ড্রোথ।

Advertisement

পূর্ব নৌ কমান্ডের ফ্ল্যাগ অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ ভাইস অ্যাডমিরাল রাজেশ পেন্ধারকর-সহ নৌসেনার বিভিন্ন আধিকারিক এবং বিশাখাপত্তনম শিপইয়ার্ড প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা হয় আইএনএস অ্যান্ড্রোথকে। অত্যাধুনিক নজরদারি প্রযুক্তির সাহায্যে শত্রুপক্ষের ডুবোজাহাজকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি উপকূলীয় অগভীর জলে যাতায়াতে সক্ষম এই ‘অ্যান্টি সাবমেরিন ওয়ারশিপ’। কলকাতার ‘গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স’ নির্মিত এই জাহাজটির ৮০ শতাংশ যন্ত্রাংশ এবং সরঞ্জামই ভারতে তৈরি।

২০৩৫ সালের মধ্যে ভারতীয় নৌসেনায় হাতে যাতে ২০০টিরও বেশি যুদ্ধজাহাজ এবং সাবমেরিন (ডুবোজাহাজ) থাকে, সে বিষয়ে সক্রিয় হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরে যুগপৎ চিন ও পাকিস্তানের নৌবাহিনীর মোকাবিলার উদ্দেশ্যেই নৌসেনার খোলনলচে বদলের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে রেডার নজরদারি প্রতিরোধী ‘স্টেলথ টেকনোলজি’-যুক্ত ফ্রিগেট ও ডেস্ট্রয়ার, কর্ভেট গোত্রের রণতরী, ‘মাইন কাউন্টার মেজার ভেসেল’-এর মতো ছোট জলযান এবং ডুবোজাহাজ নির্মাণের উপর। আর সেই পরিকল্পনারই অন্যতম ফসল আইএনএস অ্যান্ড্রোথ।

Advertisement
আরও পড়ুন