Modi-Netanyahu Talk

মোদীকে ফোন নেতানিয়াহুর, গাজ়ায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি আর কী নিয়ে আলোচনা ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে?

নয়াদিল্লি-তেল আভিভ দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সম্পর্ক, গাজ়ায় সংঘর্যবিরতি চুক্তি এবং পশ্চিম এশিয়ার আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:০৪
(বাঁ দিকে) ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

বুধবার সন্ধ্যায় আচমকাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করলেন ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও) থেকে এই খবর জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদী গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়ন-সহ এই অঞ্চলে ন্যায়সঙ্গত ও সুস্থিত শান্তিপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’’

Advertisement

নয়াদিল্লি-তেল আভিভ দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সম্পর্ক, গাজ়ায় সংঘর্যবিরতি চুক্তি এবং পশ্চিম এশিয়ার আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি। দুই প্রধানমন্ত্রীর টেলিফোন আলাপচারিতার অন্যতম বিষয় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা ছিল বলেও জানানো হয়েছে ওই খবরে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে প্যালেস্টাইনি জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের হামলার জবাবে নেতানিয়াহু গাজ়ায় সেনা অভিযানের নির্দেশ দেওয়ার পরে ফোনে কথা হয়েছিল দুই রাষ্ট্রনেতার। চলতি বছরের জুনে ইরানের বিভিন্ন সামরিক ও পরমাণুকেন্দ্রে ইজ়রায়েলি বিমানহানার ‘ব্যাখ্যা’ এবং পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে মোদীকে অবহিত করতে ফোন করেছিলেন নেতানিয়াহু। প্রসঙ্গত, ভারত দীর্ঘ কয়েক দশক ধরেই ইজ়রায়েল-প্যালেস্টাইন সমস্যার সমাধানে ‘দু’টি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে’র পক্ষে সওয়াল করেছে। কিন্তু ইজ়রায়েল কখনওই তা মানতে চায়নি। মোদীর জমানায় নয়াদিল্লি-তেল আভিভ সম্পর্ক নিবিড় হলেও এখনও ভারত সার্বভৌম প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই সমস্যা সমাধানের পক্ষে।

Advertisement
আরও পড়ুন