বিহারের জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর। —ফাইল চিত্র।
বিহারে প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে গিয়ে নিহত প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টির (জেএসপি) এক সমর্থক। দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। পথে অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জেএসপি সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে। অভিযোগ, বিরোধী শিবির থেকে জেএসপি সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। তাতেই এক জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় ক্ষমতাসীন জেডিইউ-এর দিকে আঙুল তুলেছে পিকে-র দল। তারা অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
নিহতের নাম দুলারচাঁদ যাদব। পটনার মোকামা বিধানসভা এলাকায় জন সুরাজ পার্টির প্রার্থী প্রিয়দর্শী পীযূষের সমর্থনে বৃহস্পতিবার যে প্রচার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল, তাতে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, জন সুরাজ পার্টি এবং জেডিইউ-এর মিছিল মুখোমুখি হতেই সংঘর্ষ বাধে। দুই দলের সমর্থকেরা একে অপরকে উদ্দেশ্য করে কুকথা বলছিলেন। ফলে পরিস্থিতি দ্রুত হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল। সংঘর্ষে গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হন দুলার। তাঁর দেহ এখনও পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পটনার এসএসসি কার্তিকেয় কে শর্মা সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, ‘‘মোকামা তাল এলাকায় এক প্রার্থীর সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। কিন্তু মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। দেহ পুলিশকে দেওয়া হয়নি। এটা দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু না গুলি লাগার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, দেহ পেলে জানা যাবে।’’
ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ওই অঞ্চলে। জন সুরাজ পার্টির প্রেসিডেন্ট মনোজ ভারতী বলেন, ‘‘জঙ্গল রাজের ভয় দেখিয়ে যারা ভোট আদায় করতে চায়, তাদের জন্যই এই ঘটনা। এটা গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর হামলা। আমাদের মোকামার প্রার্থীর কনভয়ে হামলা এবং তাঁর সমর্থকের মৃত্যুর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘প্রচারের অধিকার তো সব দলের রয়েছে। নির্বাচনী প্রচারের সময় বিরোধীদের উপর হামলা চালানো, গুলি চালানো জঘন্য অপরাধ।’’
মোকামায় জেডিইউ-এর প্রার্থী অনন্ত সিংহ এবং আরজেডি-র প্রার্থী বীণা দেবী। আগামী ৬ নভেম্বর ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। অনন্ত বৃহস্পতিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, আমি জানি না। আমার কনভয়ে বিরোধীরা হামলা চালিয়েছিল। তবে আমি জানি, আরজেডি প্রার্থীর স্বামী এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।’’ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আরজেডি-র তেজস্বী যাদব বলেন, ‘‘কী ভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হওয়ার পরেও মানুষ পিস্তল নিয়ে খোলাখুলি ভাবে ঘুরছে? দুলারের হত্যা খুব গুরুতর ঘটনা। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে এই ঘটনা।’’