(বাঁ দিকে) লালুপ্রসাদ এবং নীতীশ কুমার (ডানদিকে)। —ফাইল চিত্র।
দু’দশক আগে লালুপ্রসাদের জমানায় সারা ভারতে ‘বিহারি’ শব্দটি ছিল অপমানজনক। কিন্তু তাঁর সরকারের নিরন্তর প্রচেষ্টায় মগধভূমের সেই দুর্নাম ঘুচেছে বলে দাবি করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ সভাপতি নীতীশ কুমার। শনিবার বিধানসভা ভোটের প্রচারে এক ভিডিয়ো-বার্তায় তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিহারি শব্দটি এখন সম্মানের।’’
প্রায় চার মিনিটের ভিডিয়োতে নীতীশ বলেন, ‘‘২০০৫ সালে ক্ষমতায় আসার পরে আমার সরকার সততার সঙ্গে বিহারের জনগণের সেবা করেছে। কঠোর পরিশ্রম রাজ্যের উত্তরণ ঘটিয়েছে। এটি তারই ফলশ্রুতি।’’ পূর্বতম শাসকদল তথা বিধানসভা ভোটে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আরজেডি-তে পরিবারতন্ত্রকেও শনিবার নিশানা করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডির প্রতিষ্ঠাতা-প্রধান লালুপ্রসাদ, লালুর স্ত্রী তথা আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং তাঁর পুত্র তথা বিরোধী জোট মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদবের উদ্দেশে নীতীশের খোঁচা— ‘‘আমার কাছে পরিবার নয়, বিহারই প্রথম।’’
নীতীশের দাবি, দু’দশক আগে তিনি যখন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটেছিল। আরজেডি জমানার সেই জঙ্গলরাজের অবসানের পাশাপাশি তাঁর সরকারের প্রচেষ্টায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, কৃষি এবং যুব কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি এনেছে। ঘটনাচক্রে, শুক্রবার পটনায় আনুষ্ঠানিক ভাবে এনডিএ জোটের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করলেও সেই কর্মসূচি এবং সাংবাদিক বৈঠকে কোনও কথাই বলেননি নীতীশ। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর এই ‘নীরবতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। তার পরেই শনিবার সকালে প্রকাশ্যে এল তাঁরা ভিডিয়ো-বার্তা।