Verdict on Hijab case: বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশাসন নয়, হিজাবে নিষেধাজ্ঞা তুলল না কর্নাটক হাই কোর্ট

গোলমালের আশঙ্কা করে কর্নাটক সরকার এক সপ্তাহের জন্য বেঙ্গালুরু শহরে বড় জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ম্যাঙ্গালুরুতেও ১৫ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ সমস্ত বড় জমায়েত। হিজাব বিতর্কের ভরকেন্দ্র উদুপিতে মঙ্গলবার বন্ধ সমস্ত স্কুল, কলেজ।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২২ ১০:৪২

ফাইল ছবি।

বড় ধাক্কা খেলেন হিজাবের পক্ষে আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। হিজাব পরা বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশীলন নয়, রায় দিল কর্নাটক হাইকোর্ট। খারিজ হয়ে গেল হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে হাই কোর্টে দায়ের হওয়া সমস্ত পিটিশন। এর ফলে হাই কোর্টে জয় হল রাজ্য সরকারেরই। রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা।

হিজাব নিয়ে রায়ের জেরে গোলমালের আশঙ্কা করে কর্নাটক সরকার এক সপ্তাহের জন্য বেঙ্গালুরু শহরে বড় জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ম্যাঙ্গালুরুতেও ১৫ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ সমস্ত বড় জমায়েত। হিজাব বিতর্কের ভরকেন্দ্র উদুপিতে মঙ্গলবার বন্ধ সমস্ত স্কুল, কলেজ।

গত ১ জানুয়ারি কর্নাটকের উদুপিতে একটি প্রি-ইউনিভার্সিটিতে কয়েক জন হিজাব পরিহিত পড়ুয়াকে ক্লাসে বসতে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। কলেজ উন্নয়ন সমিতির সভাপতি বিজেপি বিধায়ক রঘুপতি ভট্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেন, হিজাব পরিহিতরা ক্লাসে ঢুকতে পারবেন না। সেই বিতর্ক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে রাজ্য জুড়ে। হিজাবের পাল্টা হিসেবে গেরুয়া উত্তরীয় পরে আন্দোলন শুরু করে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। কয়েকটি জায়গায় হিজাবের পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলনকারীরা মুখোমুখি হয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গেও একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কয়েকটি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। শান্তির আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। সমস্ত স্কুল, কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Advertisement

গত ২৬ জানুয়ারি কর্নাটক সরকার এ বিষয়ে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে। ঘোষণা করা হয়, কমিটি নির্দিষ্ট সুপারিশ করার আগ পর্যন্ত ছাত্রীরা কেবলমাত্র ইউনিফর্ম পরেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে পারবেন। হিজাব বা গেরুয়া উত্তরীয়— কিছুই পরার অনুমতি নেই। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উদুপির কয়েক জন ছাত্রী কর্নাটক হাই কোর্টে রিট মামলা দায়ের করেন। তাঁরা আদালতকে জানান, হিজাব পরা তাঁদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। কোনও ভাবেই তা বাতিল করা যায় না।

১০ ফেব্রুয়ারি কর্নাটক হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি রিতুরাজ অবস্তি, বিচারপতি কেএস দীক্ষিত এবং বিচারপতি জেএম খাজি অন্তর্বর্তী রায়ে বলেন, ‘‘যত দিন না রায় ঘোষণা হচ্ছে, কর্নাটকে স্কুল, কলেজ খুলতে পারে কিন্তু কোনও পড়ুয়া ধর্মীয় প্রতীকমূলক কোনও পরিধান পরে আসতে পারবেন না।’’

এই মামলায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কর্নাটক সরকার বলে এসেছে, হিজাব পরা ইসলামের বাধ্যতামূলক অনুশীলনের মধ্যে পড়ে না। মঙ্গলবার হাই কোর্টের রায়েও উঠে এল তা। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা।

Advertisement
আরও পড়ুন