তেজপ্রতাপ যাদব। —ফাইল চিত্র।
বিহার ভোটে একলা লড়ার ইঙ্গিত দিলেন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবের ত্যাজ্যপুত্র তেজপ্রতাপ যাদব। শুক্রবার নিজের পুরনো বিধানসভা কেন্দ্র, বিহারের বৈশালী জেলার মহুয়ায় নিজের অনুগামীদের নিয়ে একটি মিছিল করেন তেজপ্রতাপ। তাঁর অনুগামীদের হাতে ছিল সবুজ-সাদা রঙের পতাকা। পতাকার উপরে লেখা ‘টিম তেজপ্রতাপ যাদব’। তেজপ্রতাপের মাথায় ছিল সবুজ রঙের টুপি। দল এবং পরিবার থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর তিনি নতুন দল খুলছেন কি না, তা অবশ্য খোলসা করেননি লালুর জ্যেষ্ঠপুত্র।
মিছিলের পর বর্তমানে বিহারের সমস্তিপুর জেলার হাসনপুর কেন্দ্রের বিধায়ক তেজপ্রতাপ বলেন, “মানুষের ইচ্ছায় আমি বেঁচে রয়েছি। মানুষ যা চান, আমি তা-ই করব। মানুষ যেখান থেকে চাইবেন, সেখান থেকে ভোটে লড়ব। কোন দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব, তা পরে দেখাই যাবে।” তেজপ্রতাপ এ-ও জানান যে, তিনি কারও নিয়ন্ত্রণাধীন নন। মানুষের ইচ্ছাতেই তিনি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
‘দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ’ এবং ‘পারিবারিক মূল্যবোধ ক্ষুণ্ণ’ করার কারণে গত মে মাসে তেজপ্রতাপকে দল এবং পরিবার থেকে বিতাড়িত করেন লালু। সে দিন সন্ধ্যায় তেজপ্রতাপের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে এক মহিলার ছবি পোস্ট করা হয়। দাবি, ছবিতে তেজপ্রতাপের সঙ্গে যাঁকে দেখা যাচ্ছে, তাঁর নাম অনুষ্কা যাদব। সেই পোস্টে দাবি করা হয়, তেজপ্রতাপ এবং অনুষ্কা গত ১২ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ। দীর্ঘ দিনের সেই সম্পর্কের কথা এখন তিনি প্রকাশ্যে আনছেন। সেই পোস্ট প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় বিহারের রাজনীতিতে। যদিও তেজপ্রতাপ পরে দাবি করেন, তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল হ্যাক করা হয়েছে। তাঁর ছবি ‘এডিট’ করে পোস্ট করেছে হ্যাকারেরা। তাঁর এবং তাঁর পরিবারের মানহানির লক্ষ্যেই এই সব ছবি পোস্ট করা হয়েছে। গুজবে কান না-দেওয়ার আহ্বানও জানান তেজপ্রতাপ।
তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বড় পুত্রকে আরজেডি এবং পরিবার থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন লালু। আগামী ছ’বছর আরজেডির সঙ্গে তেজপ্রতাপের কোনও সম্পর্ক থাকবে না বলেও জানান লালু। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানান লালুর কনিষ্ঠপুত্র তেজস্বীও। তিনি জানান, আরজেডি ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক আচরণের মধ্যে স্পষ্ট বিভাজন বজায় রাখতে জানে। দল এবং পরিবার থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা গেল তেজপ্রতাপকে। বহু দিন পরে নিজের পুরনো বিধানসভা কেন্দ্রে গিয়ে অনুগামীদের অভ্যর্থনাও পান তিনি।