PMLA Case

ইডি কোনও ‘আত্মঘাতী ড্রোন’ বা ‘সুপার কপ’ নয়: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন মাদ্রাজ হাই কোর্টের

আরকেএম পাওয়ারজেন প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে প্রথমে তদন্ত শুরু করে আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। ২০১৫ সাল থেকে পৃথক তদন্ত করছিল ইডি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৫ ১২:১৫
Madras High Court quashing ED on a fixed deposit freeze case

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠল মাদ্রাজ হাই কোর্টে। এক মামলার শুনানিতে উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইডি কোনও ‘ড্রোন বা আত্মঘাতী অস্ত্র’ নয় যে তারা ইচ্ছামতো আক্রমণ করতে পারে কিংবা তারা কোনও ‘সুপার পুলিশ’ও নয় যে তাদের নজরে আসা প্রতিটি বিষয়ে তদন্ত করার ক্ষমতা রয়েছে!

Advertisement

আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে (পিএমএলএ) ইডি কেবল তার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। তবে অবশ্যই সেখানে যদি কোনও নির্ধারিত অপরাধ (প্রেডিকেট ক্রাইম) হয় বা কোনও অপরাধ ঘটার সম্ভাবনা থাকে। এমনই মন্তব্য করেছে মাদ্রাজ হাই কোর্টের বিচারপতি এমএস রমেশ এবং বিচারপতি ভি লক্ষ্মীনারায়ণের ডিভিশন বেঞ্চ। এই বেঞ্চের আরও পর্যবেক্ষণ, যদি আগে কোনও অপরাধের ইঙ্গিত না-পাওয়া যায় তবে সেই ক্ষেত্রে পিএমএলএ-এর অধীনে মামলা করে তদন্ত শুরু করা অপ্রত্যাশিত।

আরকেএম পাওয়ারজেন প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে প্রথমে তদন্ত শুরু করে আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। তবে ২০১৭ সালে তারা তদন্ত বন্ধ করে দেয়। যদিও ২০১৫ সাল থেকে পিএমএলএ-র অধীনে তদন্ত করছিল ইডি। গত ৩১ জানুারি ওই সংস্থার ৯০১ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত ফ্রিজ় করে তারা। ইডির এই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় সংস্থা।

সেই মামলার শুনানিতে ওই সংস্থার পক্ষের আইনজীবী বি কুমারের সওয়াল, ইডি আদালতের আগের রায় উপেক্ষা করে স্থায়ী আমানত ফ্রিজ় করেছে। তাদের কাছে এই মামলার কোনও নতুন তথ্য নেই। সওয়াল-জবাব শেষে ইডির পদক্ষেপ (স্থায়ী আমানত ফ্রিজ়) বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisement
আরও পড়ুন