Kerala Crime

পড়শির মেসেজ স্ত্রীর ফোনে! ধারালো অস্ত্র হাতে তাড়া করলেন যুবক, দু’জনকেই কুপিয়ে খুন

প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করেন যুবক। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দু’জনকেই খুন করেন তিনি। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৫ ১৪:২৮
Man arrested for alleged murder of wife and her friend suspecting affair

প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে স্ত্রীর (বাঁ দিকে) সম্পর্ক সন্দেহ করে তাঁদের খুনের অভিযোগ ৩২ বছরের বাইজুর (ডান দিকে) বিরুদ্ধে। ছবি: সংগৃহীত।

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রী এবং তাঁর পুরুষ বন্ধুকে কুপিয়ে খুন করলেন যুবক। স্ত্রীর ফোনে প্রতিবেশী ওই যুবকের একটি মেসেজ দেখতে পেয়েছিলেন তিনি। তা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বচসা হয়। স্বামীর হাত থেকে বাঁচতে ওই বন্ধুর বাড়িতেই ছুটে যান মহিলা। ধারালো অস্ত্র হাতে তাড়া করে তাঁকে ধরে ফেলেন অভিযুক্ত। প্রথমে কুপিয়ে খুন করেন স্ত্রীকে। তার পর তাঁর সেই বন্ধুকেও একাধিক বার কোপান। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

কেরলের পতনমতিট্টা জেলার কালানজুর গ্রামের ঘটনা। অভিযুক্তের নাম বাইজু। অভিযোগ, স্ত্রী বৈষ্ণবী এবং প্রতিবেশী বিষ্ণু নামের যুবককে তিনি খুন করেছেন। আদৌ তাঁদের মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল কি না, এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীর ফোনে বিষ্ণুর একটি মেসেজ দেখতে পেয়েছিলেন বাইজু। সেখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। তাঁর সন্দেহ হয়, ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর কোনও সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এই সন্দেহের কথা স্ত্রীকে জানালে তাঁদের মধ্যে বিস্তর ঝগড়াঝাঁটি হয়। ধারালো অস্ত্র হাতে স্ত্রীকে মারতে যান যুবক।

ভয় পেয়ে ওই মহিলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। কোনও রকমে দৌড়ে তিনি ওই বন্ধুর বাড়িতেই গিয়ে ওঠেন। অস্ত্র হাতে তাঁকে ধাওয়া করেছিলেন যুবক। তিনি প্রতিবেশীর বাড়িতে পৌঁছে স্ত্রীকে সকলের সামনে কুপিয়ে খুন করেন। ঘটনাস্থলেই মহিলার মৃত্যু হয়। এর পর প্রতিবেশী যুবকের দিকে চোখ যায় অভিযুক্তের। তাঁকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেন। এলোপাথাড়ি কোপ মারেন তিনি। বাড়ির বাকিরা ছুটে এসে অভিযুক্তকে থামান এবং পুলিশ ডাকেন। জখম যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। যে ঘরে দু’টি খুন করা হয়েছে, সেই ঘর দু’টি রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। অভিযুক্তকে তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁদের মোবাইল ফোন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় ধৃতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন