—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। সেটাই ছিল তাঁর ‘অপরাধ’! কেন পরিবারের বিরুদ্ধে যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বোনকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। একই অভিযোগে ওই যুবকের বন্ধুকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।
দিন দুয়েক আগে গুরুগ্রামে এক তরুণীর দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল। ১৯ বছর বয়সি ওই তরুণীকে খুন করা হয়েছে। তদন্তে জানতে পারা যায়, ওই তরুণী উত্তরপ্রদেশের এটাহ জেলার বাসিন্দা। সেই খুনের ঘটনায় মৃতার দাদা এবং তাঁর বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘মৃত তরুণীর দাদার আশঙ্কা ছিল, পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে তাঁর বোন নিজের পচ্ছন্দের ছেলেকে বিয়ে করবে। এই বিয়ে হলে সমাজে অপমানিত হবেন তাঁরা। তাই বন্ধুর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে বোনকে খুন করার পরিকল্পনা করেন ধৃতেরা।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১ ডিসেম্বর গ্রামের বাড়ি থেকে গুরুগ্রামে চলে যান ওই তরুণী। গত ৯ ডিসেম্বর গুরুগ্রামে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন তাঁর দাদা। প্রথমে বোনকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য জোরাজুরি করেন ধৃত যুবক। কিন্তু তাতে রাজি ছিলেন না ওই তরুণী। পরে ওই যুবকের বন্ধু তরুণীকে জানান, তিনি তাঁর বিয়ের বন্দোবস্ত করে দেবেন। নিজের পছন্দের ছেলেকেই বিয়ে করতে পারবেন তরুণী। গত ১০ ডিসেম্বর বাইকে করে তরুণীকে রামপুরা চক থেকে এক নির্জন এলাকায় নিয়ে যান তাঁর দাদার বন্ধু। সেখানেই প্রথমে তরুণীকে যৌন নির্যাতন করেন এবং পরে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করেন।
খুনের পর তরুণীর দাদাকে ঘটনাস্থলে ডেকে পাঠানো হয়। বন্ধুর কথা মতো দেহটি তিনি ফেলে দেন এলাকার এক পরিত্যক্ত বাড়িতে। ১৩ ডিসেম্বর এক পথচারী ওই ঘরে তরুণীর দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। তাঁর গলায় এবং ঘাড়ে ফাঁসে স্পষ্ট দাগ ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।