Maoists Killed

‘অপারেশন সঙ্কল্প’ চলছে দেশের অন্দরে! অভিযানে ২৬ মাওবাদী হত ছত্তীসগঢ়-তেলঙ্গানা সীমানায়

সিপিআই (মাওবাদী)-এর সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ-র ১ নম্বর ব্যাটেলিনের ঘাঁটি রেগুট্টা এবং দুর্গামগুট্টার ঘন জঙ্গলে যৌথবাহিনীর ‘জালে’ পড়েছে ৫০০-র বেশি গেরিলা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২৫ ২১:৩৭

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনের বিজাপুর জেলা এবং পড়শি রাজ্য তেলঙ্গানার সীমানায় পাহাড়-জঙ্গলঘেরা এলাকায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে অন্তত ২৬ জন মাওবাদী গেরিলার মৃত্যু হয়েছে। ওই এলাকায় গত ১৮ দিন ধরে ধারাবাহিক সংঘর্ষ চলছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, মাওবাদীদের বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং বিস্ফোরকও উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী।

Advertisement

ওই এলাকায় প্রায় ২৪ হাজার আধাসেনা ও পুলিশের ‘জাঁতাকলে’ পড়েছে ৫০০-রও বেশি মাওবাদী। কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের জঙ্গলযুদ্ধে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো বাহিনী ‘কোবরা’র পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়ের সশস্ত্র পুলিশ, বস্তার ফাইটারস ও ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড বাহিনী, মহারাষ্ট্র পুলিশের সি-৬০, তেলঙ্গানা পুলিশের মাওবাদী দমন বাহিনীও রয়েছে অভিযানকারী দলে। নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-এর সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপল্‌স লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র ১ নম্বর ব্যাটেলিনের ঘাঁটি রেগুট্টা এবং দুর্গামগুট্টার ঘন জঙ্গলে ঘেরা পাহাড় ঘিরে গত ২১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ধীরে ধীরে ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ নামে ওই অভিযান সংহত করা হচ্ছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।

ছত্তীসগঢ়ের রাজধানী রায়পুর থেকে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার দূরে বস্তার ডিভিশনের ওই দুর্গম এলাকায় মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েক জন গুরুত্বপূর্ণ নেতাও বেড়াজালে আটক হয়েছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর। সেই সঙ্গে রয়েছেন তেলঙ্গানা রাজ্য কমিটি এবং দণ্ডকারণ্য বিশেষ জ়োনাল কমিটির অধিকাংশ গেরিলা কমান্ডার। এই পরিস্থিতিতে নজরদারির কাজে হেলিকপ্টার এবং ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদীদের নিশ্চিহ্ন করা করা ঘোষণা করেছেন। ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ সেই লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে দাবি ছত্তীসগঢ় সরকারের।

Advertisement
আরও পড়ুন