Anti-Maoist Operation

মাওবাদীদের অস্ত্র কারখানার হদিশ ছত্তীসগঢ়ে! যৌথ বাহিনীর হানায় উদ্ধার যন্ত্রপাতি, আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক

কারখানা থেকে আটটি রাইফেল এবং বোমা তৈরির কাঁচামাল উদ্ধার হয়েছে। তল্লাশি অভিযানের পর অস্ত্র তৈরির ওই কারখানাটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সোমবার ছত্তীসগঢ় পুলিশের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানানো হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:০২

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ছত্তীসগঢ়ের সুকমায় মাওবাদীদের একটি অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল সিআরপিএফ এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী। ওই কারখানা থেকে আটটি রাইফেল এবং বোমা তৈরির কাঁচামাল উদ্ধার হয়েছে। তল্লাশি অভিযানের পর অস্ত্র কারখানাটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সোমবার ছত্তীসগঢ় পুলিশের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানানো হয়েছে।

Advertisement

সুকমার পুলিশ সুপার (এসপি) কিরণ চ্যবন জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে ওই কারখানার খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। তার পরেই সুকমার পাহাড় এবং জঙ্গলঘেরা গ্রাম মীনাগাট্টার ওই কারখানায় যৌথ অভিযানে নামে পুলিশ এবং সিআরপিএফ। সেখান থেকে আটটি রাইফেল ছাড়াও উদ্ধার হয় কার্তুজ, ডিটোনেটর, ১০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ইত্যাদি।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, সুকমা অঞ্চলে সশস্ত্র কার্যকলাপ চালাতে এই কারখানায় তৈরি হওয়া অস্ত্র ব্যবহার করত মাওবাদীরা। যৌথ বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানে মাওবাদীরা অবশ্য এখন কোণঠাসা। একদা মুক্তাঞ্চল ছত্তীসগঢ়ের বস্তার (সুকমা জেলা ছত্তীসগঢ়ের যে অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত) থেকেও প্রায় মুছে গিয়েছে তারা। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ৫৯৯ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন। গ্রেফতার হয়েছেন ৪৬০ জন। আর ৭১ জনকে নিকেশ করেছে যৌথ বাহিনী। ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদীদের নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই আবহে সুকমার পুলিশ সুপার বলেন, “সুকমার পুলিশ বস্তারে শান্তি এবং নিরাপত্তারক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।” মাওবাদীদের নির্মূল না-করা পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।

Advertisement
আরও পড়ুন