ভোটার তালিকা। — ফাইল চিত্র।
গুজরাতে ৪৪ লক্ষেরও বেশি ভোটার ২০০২ সালের তালিকার সঙ্গে কোনও যোগসূত্র দেখাতে পারেননি। এর আগে ওই বছরই গুজরাতে শেষ বার ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) হয়েছিল। এ ছাড়া ৭৪ লক্ষ ভোটারের এনুমারেশন ফর্মই জমা পড়েনি কমিশনের কাছে।
আগামী শুক্রবার গুজরাতে ভোটারদের খসড়া তালিকা প্রকাশ হবে। এনুমারেশন ফর্ম জমা নেওয়ার পর্ব ইতিমধ্যে মিটে গিয়েছে সে রাজ্যে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য হিসাবে গুজরাতে এসআইআরের কাজ নিয়ে দেশবাসীর কৌতূহলও রয়েছে যথেষ্ট। নভেম্বরে যখন এসআইআর শুরু হয়, তখন গুজরাতে ৫ কোটি ৮ লক্ষ ভোটারকে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা হয়েছিল। এসআইআর-এর প্রথম পর্ব (এনুমারেশন ফর্ম বিলি এবং সংগ্রহ) শেষে দেখা গেল, ৪ কোটি ৩৪ লক্ষ ফর্ম জমা পড়েছে কমিশনের কাছে। অর্থাৎ, বুথস্তরের আধিকারিক (বিএলও)-দের থেকে ফর্ম নেওয়ার পরেও ৭৪ লক্ষ ভোটার তা ফেরত দেননি। এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে গুজরাতের সিইও দফতর।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যে ৪ কোটি ৩৪ লক্ষ ভোটার ফর্ম জমা দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৪৪ লক্ষ ৪৫ হাজার ভোটারকে ‘ম্যাপ’ করা যায়নি। অর্থাৎ, এসআইআর শুরুর আগে সর্বশেষ ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে। তবে ২০০২ সাল ভোটার তালিকার সঙ্গে নিজেদের কোনও যোগসূত্র দেখাতে পারেননি ওই ভোটারেরা। এ বার তাঁদের নোটিস পাঠিয়ে শুনানির জন্য ডাকবে কমিশন। তাঁরা গুজরাতের বৈধ ভোটার কি না, তা যাচাই করা হবে।
এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহের পরে দেখা যাচ্ছে, গুজরাতের বর্তমান ভোটার তালিকার প্রায় ১৮ লক্ষ ভোটার মৃত। সাড়ে ৯ লক্ষেরও বেশি ভোটারের বাড়ি গিয়ে তাঁদের খোঁজ পানননি বিএলওরা। এ ছাড়া ৪০ লক্ষেরও বেশি ভোটার অন্যত্র চলে গিয়েছেন। একাধিক জায়গায় নাম রয়েছে ৩ লক্ষ ৮১ হাজার ভোটারের। শুক্রবার খসড়া তালিকা প্রকাশের পরে ভোটারদের দাবি এবং অভিযোগ শুনবে কমিশন। চলবে শুনানিও।
পশ্চিমবঙ্গের খসড়া তালিকা ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে কমিশন। তা থেকে বাদ পড়েছে ৫৮ লক্ষ ২০ হাজার ৮৯৮ জনের নাম। এর মধ্যে ৫৭ হাজার ৬০৪ জন এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করেননি। ৩০ লক্ষ ভোটার রয়েছেন, যাঁদের নিজেদের নাম বা আত্মীয়ের নামও ২০০২ সালের তালিকায় নেই। গুজরাতের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে দু’টি পরিসংখ্যানই পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় বেশি।