Doctor's Mysterious Death

‘মৃত্যুর পর দেহ দান করে দেবেন’! ঘর থেকে উদ্ধার চিকিৎসক, তাঁর কন্যার দেহ এবং চার পাতার চিঠি

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত চিকিৎসক এবং তাঁর কন্যার নাম হরিকৃষ্ণ এবং চিত্রা শর্মা। তদন্তকারী আধিকারিক অবধেশ সিংহ তোমর জানিয়েছেন, হরিকৃষ্ণের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৫ ১০:০০
চিকিৎসক এবং তাঁর কন্যার দেহ উদ্ধার ভোপালে। প্রতীকী ছবি।

চিকিৎসক এবং তাঁর কন্যার দেহ উদ্ধার ভোপালে। প্রতীকী ছবি।

ঘরের সিলিং থেকে ঝুলছিল প্রৌঢ় চিকিৎসকের দেহ। অন্য ঘরে পড়ে তাঁর কন্যার দেহ। ঘরের টেবিলে রাখা ছিল একটি চিঠি। তাতে লেখা ছিল, মৃত্যুর পর তাঁদের দু’জনের দেহ যেন মেডিক্যাল পড়ুয়াদের গবেষণার জন্য ভোপাল এমসে দান করে দেওয়া হয়। ঘটনাচক্রে, ওই চিকিৎসকের কন্যাও নিজে এক চিকিৎসক। বাবা-মেয়ের এমন পদক্ষেপে স্তম্ভিত পড়শিরাও। ঘটনাটি ভোপালের।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত চিকিৎসক এবং তাঁর কন্যার নাম হরিকৃষ্ণ এবং চিত্রা শর্মা। তদন্তকারী আধিকারিক অবধেশ সিংহ তোমর জানিয়েছেন, হরিকৃষ্ণের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু কী ভাবে চিত্রার মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি স্পষ্ট হবে। তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘর থেকে একটি চার পাতার দীর্ঘ চিঠি উদ্ধার হয়েছে। সেই চিঠির মূল বক্তব্য, মৃত্যুর পর তাঁরা দেহ দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই চিঠির লেখা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। আত্মহত্যা না কি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে চিকিৎসক-কন্যার মৃত্যুতে পুলিশের সন্দেহ বাড়ছে। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া চিঠিতে এই পদক্ষেপ করার কারণও উল্লেখ করে গিয়েছেন হরিকৃষ্ণ। সেখানে দাবি করা হয়েছে, চার বছর আগে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর থেকে তিনি এবং তাঁর কন্যা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। কন্যার চিত্রার পরিস্থিতিও দিন দিন খারাপ হচ্ছিল। এই পরিস্থিতি সহ্য করতে পারছিলেন না। তাই নিজেদের শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর বছরখানেক আগে হরিকৃষ্ণের পুত্রেরও মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িতেই চিকিৎসা করতেন হরিকৃষ্ণ এবং তাঁর কন্যা। রবিবার এক রোগী তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। অনেক ডাকাডাকির পর দরজা না খোলায় প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান তিনি। জানলা দিয়ে উঁকি মারতেই তাঁরা হরিকৃষ্ণের দেহ দেখতে পান। তার পরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

Advertisement
আরও পড়ুন