Death in Chhattisgarh

বিষমদ না খাবারে বিষক্রিয়া? পাঁচ দিনে সাত গ্রামবাসীর মৃত্যুতে উঠছে প্রশ্ন, খতিয়ে দেখছে ছত্তীসগঢ়ের প্রশাসন

সরকারি এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, মৃতদের মধ্যে এক জন বাদে সকলের দেহই প্রশাসনকে না জানিয়ে দাহ করা হয়। ফলে ময়নাতদন্তের কোনও সুযোগ ছিল না।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:৫৭
Mysterious death of several people in Chhattisgarh\\\\\\\\\\\\\\\'s village, probe on

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বিষমদ না কি খাবারে বিষক্রিয়া? ছত্তীসগঢ়ের বিলাসপুরের একটি গ্রামে গত পাঁচ দিনে সাত জনের রহস্যজনক মৃত্যুর পর উঠছে তেমনই প্রশ্ন। ঠিক কী কারণে মৃত্যু ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিষমদের থেকেই সকলের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের সকলের বয়স ৩৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। যদিও গ্রামবাসীদের অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা প্রশাসন। তাদের দাবি, বিলাসপুরের লোফান্দি গ্রামের একটি অনুষ্ঠানের খাবার থেকেই বিষক্রিয়া ঘটে। ওই অনুষ্ঠানের খাবার খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম ওই গ্রামে দু’জনের মৃত্যুর খবর মেলে। দেবপ্রসাদ পটেল এবং শত্রুঘ্ন দেওয়াঙ্গন। তার দু’দিন পর আরও পাঁচ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। মৃত্যুর কারণ হিসাবে হাসপাতালের তরফে হৃদ্‌রোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।

সরকারি এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, মৃতদের মধ্যে এক জন বাদে সকলের দেহই প্রশাসনকে না জানিয়ে দাহ করা হয়। ফলে ময়নাতদন্তের কোনও সুযোগ ছিল না। তবে এক জনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী কারণে তাঁর মৃত্যু হল, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই স্পষ্ট হবে। ঘটনা নজরে আসার পরই তৎপরতা শুরু করে প্রশাসন। বিভিন্ন দল তৈরি করে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে যাচ্ছেন সরকারি আধিকারিকেরা। সেই দলে রয়েছেন চিকিৎসকেরাও। বাসিন্দাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিচ্ছেন তাঁরা। কোনও অস্বাভাবিকতা রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিলাসপুরের কালেক্টর অবনীশ শরণ সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিক তদন্তে বেশ কিছু তথ্য জানা গিয়েছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ৩-৬ ফেব্রুয়ারি গ্রামে একটা বিয়ে ছিল। সেই বিয়ের অনুষ্ঠানের পর পরই অসুস্থতা এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের প্রধান খাবারে বিষক্রিয়ার কথা মানতে চাননি। তাঁর দাবি, বিয়ের অনুষ্ঠানে মদ্যপানের আসর বসেছিল। সেই থেকেই কিছু হয়ে থাকতে পারে বলে দাবি তাঁর। তবে ঠিক কী থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে সাত জনের মৃত্যু হল, তা ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে।

Advertisement
আরও পড়ুন