Husband Kills Himself After Wife's Death

পণ চেয়ে হেনস্থা, আত্মঘাতী বেঙ্গালুরুর নববধূ! গ্রেফতারির ভয়ে ১,০০০ কিমি দূরে নাগপুরে গিয়ে আত্মহত্যা স্বামীর

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুরজের মা জয়তী শিবন্নাও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনি বেঁচে গিয়েছেন। একই হোটেলের ঘর থেকে তাঁর অচৈতন্য দেহ উদ্ধার হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:১১

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

পণ চেয়ে হেনস্থার জেরে আত্মঘাতী হয়েছিলেন স্ত্রী। গ্রেফতারির ভয়ে বেঙ্গালুরু থেকে ১০০০ কিমি পথ পাড়ি দিয়ে নাগপুরে গিয়ে আত্মহত্যা করলেন স্বামীও! পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সুরজ শিবন্না। শুক্রবার গভীর রাতে নাগপুরের ওয়ার্ধা রোডের একটি হোটেল থেকে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা সুরজের দেহ উদ্ধার হয়েছে।

Advertisement

৩৫ বছর বয়সি সুরজ বেঙ্গালুরুর বিদ্যারণ্যপুরা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। মাত্র মাসখানেক আগেই গণভি নামে এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সুরজের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে নানা ভাবে চাপ দেওয়া হত গণভিকে। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির পরিজনদের টানা হেনস্থার জেরে বৃহস্পতিবার আত্মহত্যা করেন নববিবাহিতা ওই তরুণী। মেয়ের মৃত্যুর পর গণভির পরিবার সুরজ ও তাঁর বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে পণের দাবিতে হয়রানির অভিযোগ দায়ের করেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলাও দায়ের করা হয়। এর পরেই গ্রেফতারির ভয়ে তড়িঘড়ি বেঙ্গালুরু ছাড়েন সুরজ ও তাঁর মা। বেঙ্গালুরু থেকে ১,০০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে নাগপুরের ওয়ার্ধা রোডের একটি হোটেলে ওঠেন দু’জনে। সেই হোটেলের ঘর থেকেই শুক্রবার রাতে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুরজের মা জয়তী শিবন্নাও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনি বেঁচে গিয়েছেন। একই হোটেলের ঘর থেকে তাঁর অচৈতন্য দেহ উদ্ধার হয়েছে। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বছর ষাটেকের ওই মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে, মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকেই ফেরার ছিলেন মা-ছেলে। প্রথমে তাঁরা বেঙ্গালুরু থেকে হায়দরাবাদে যান। সেখান থেকে রওনা দেন নাগপুরের উদ্দেশে। ২৬ ডিসেম্বর নাগপুরে পৌঁছোন তাঁরা। সুরজের ছোট ভাই সঞ্জয়ও তাঁদের সঙ্গে গিয়েছিলেন। তিন জন মিলে একটি হোটেলে ওঠেন। পরে সেখান থেকেই সুরজের দেহ উদ্ধার করেন হোটেলকর্মীরা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। সুরজের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁর ভাইয়ের জবানবন্দি রেকর্ড করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন