Election Commission Of India

অনলাইনে নাম কাটা হয় না ভোটার তালিকা থেকে, বলল কমিশন, মানল রাহুলের তোলা ভুয়ো আবেদনের অভিযোগ

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে ‘ভোটচুরি’র একের পর এক অভিযোগ করেছিলেন রাহুল। ‘প্রমাণ’ হিসেবে পেশ করেছিলেন কর্নাটকের আলন্দ বিধানসভা আসনে ‘নিয়ম বহির্ভূত ভাবে’ ৬০০০-এরও বেশি ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার উদাহরণ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:৩৩
রাহুল গান্ধী।

রাহুল গান্ধী। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী তৈরি করা হয়। নির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া মেনেই তালিকার কোনও নাম সংশোধন, মুছে ফেলা বা নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাল নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে কমিশন জানিয়েছে, যোগ্য ভোটারকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা, এবং কোনও অযোগ্য ব্যক্তিকে বাদ দেওয়ায় মূল লক্ষ্য।

Advertisement

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে ‘ভোটচুরি’র একের পর এক অভিযোগ করেছিলেন রাহুল। ‘প্রমাণ’ হিসেবে পেশ করেছিলেন কর্নাটকের আলন্দ বিধানসভা আসনে ‘নিয়ম বহির্ভূত ভাবে’ ৬০০০-এরও বেশি ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার উদাহরণ। দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের রাজুর কেন্দ্রের উদাহরণও। এর পরে সেই অনুষ্ঠানের একটি ছোট ভিডিয়ো শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেন তিনি। কটাক্ষের সুরে রাহুলের দাবি, ‘‘ভোর ৪টেয় ঘুম থেকে উঠুন, ৩৬ সেকেন্ডের মধ্যে দু’জন ভোটারের নাম বাদ দিন, আবার ঘুমিয়ে পড়ুন— এ ভাবেই ভোটচুরির ঘটনা ঘটে।’’

কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, নির্বাচনী নজরদারেরা চুরির দিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন এবং চোরেদের রক্ষা করেছেন! বস্তুত, ভুয়ো আবেদন জমা পড়ার অভিযোগ শুক্রবার নির্বাচন কমিশনও স্বীকার করেছে। কমিশন জানিয়েছে, ২০২৪ সালে মহারাষ্ট্রের রাজুরা কেন্দ্রে নতুন ভোটার হিসাবে নাম তোলার জন্য ৭,৭৯২টি আবেদন জমা পড়েছিল। যাচাইয়ের পর দেখা যায় ৬,৮৬১টি আবেদন অবৈধ, তাই সেগুলি বাতিল করা হয়। বিশাল সংখ্যক সন্দেহজনক আবেদনের কারণে ইআরও (ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার) তদন্ত শুরু করেন এবং পরে রাজুরা থানায় এফআইআর দায়ের হয়।

অন্য দিকে, আলান্দে ৬,০১৮টি আবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু মাত্র ২৪টিই আসল বলে প্রমাণিত হয়েছিল বলে কমিশন জানিয়েছে। কমিশনের মতে, কোনও সাধারণ মানুষ অনলাইনে বসে কারও ভোট কেটে দিতে পারবেন না। ভোটার তালিকা থেকে নাম মুছে দেওয়ার জন্য অনলাইনে ফর্ম-৭ জমা দেওয়া হলেও, শুধু আবেদন করলেই নাম বাদ যায় না। আইন অনুযায়ী আগে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে নোটিস দিয়ে বক্তব্য জানানোর সুযোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক।

Advertisement
আরও পড়ুন