Bihar Assembly Election 2025

তৈরি হল ভোটকেন্দ্র, একদা বিহারের ‘মাওবাদী দুর্গ’ রোহতাসের গ্রাম ২০ বছর পরে ফিরছে সংসদীয় পথে

শের শাহের তৈরি রোহটাস দুর্গে ঘাঁটি বানিয়ে, ২০০৪ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত রোহতাস জেলার একাংশে কার্যত সমান্তরাল সরকার চালাত মাওবাদীরা। ২০০৫ সালের গোড়ায় নিরাপত্তাবাহিনীর উপর হামলার পরে চোরমারার ভোটকেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:০৯
Once Bihar’s Maoist den, Chormara of Rohtas goes to polls after 20 years

রোহতাসের কৈমুর পাহাড়ে নিরাপত্তাবাহিনী। —ফাইল চিত্র।

দু’দশক পরে আবার নিজেদের গ্রামেই ভোট দিতে পারবেন বিহারের চোরমারার বাসিন্দারা। ঠিক দু’দশক পরে। একদা মাওবাদী জঙ্গিদের ‘রেড করিডর’-এর অন্তর্গত উত্তর বিহারের রোহতাস জেলার ওই গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সোমবারই পৌঁছে গিয়েছেন ভোটকর্মী এবং নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যেরা। মঙ্গলবার সেখানে ভোটগ্রহণ হবে।

Advertisement

দিল্লির সুলতান শের শাহের তৈরি রোহতাস দুর্গে ঘাঁটি বানিয়ে, ২০০৪ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত ওই এলাকায় সমান্তরাল সরকার চালাত নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই মাওবাদীর সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)। ২০০৫ সালের গোড়ায় বিধানসভা ভোটপর্বের সময় চোরমারা গ্রামের অদূরে ভোটকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছিলেন মাওবাদী গেরিলারা। তার পর থেকেই ওই গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

গ্রামবাসীদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার জন্য অবশ্য বিকল্প ব্যবস্থা করেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সেই অধিকার প্রয়োগ করতে ২২ কিলোমিটার পাহাড়-জঙ্গল ভেঙে অন্য গ্রামের ভোটকেন্দ্রে যেতে হত চোরমারার বাসিন্দাদের। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে যৌথবাহিনীর অভিযানে কৈমুর পাহাড়ের রোহতাস দুর্গ মাওবাদীদের হাতছাড়া হলেও চিত্র বদলায়নি। অতর্কিত হামলার আশঙ্কায় সেখানে ভোটকর্মীদের পাঠাতে ভরসা পায়নি কমিশন। দু’দশক পরে সেই ছবি বদলাতে চলেছে। প্রসঙ্গত, গত ৬ নভেম্বর প্রথম দফায় বিহারের ১৮ জেলার ১২১টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় তথা শেষ দফায় বিহারের ২০টি জেলার ১২২টি বিধানসভা আসনে ভোট হবে। গণনা আগামী ১৪ নভেম্বর।

Advertisement
আরও পড়ুন