Goa Nightclub Fire

আগাম জামিন চেয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ গোয়ার নৈশক্লাবের মালিকেরা! তাইল্যান্ড থেকে প্রত্যর্পণ করানো যাবে দুই ভাইকে?

গত ৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতের পর উত্তর গোয়ার আরপোরার বির্চের ওই নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনা নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই সকলের চোখের আড়ালে ভারত ছেড়ে পালান সৌরভ এবং গৌরব লুথরা (লুথরা ভাই)।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:৪৪
Owners of Goa Nightclub’s Gaurav Luthra and Saurabh Luthra move Delhi court seeking anticipatory bail

গোয়ার সেই নৈশক্লাবের দুই মালিক সৌরভ এবং গৌরব লুথরা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর পরই দেশ ছেড়ে পালান সৌরভ এবং গৌরব লুথরা (লুথরা ভাই) তথা উত্তর গোয়ার আরপোরার বার্চ নৈশক্লাবের মালিকেরা। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার পাশাপাশি লুকআউট নোটিসও জারি হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকেই দেশ ছেড়ে তাইল্যান্ডে ‘আশ্রয়’ নিয়েছেন সৌরভ এবং গৌরব। সেখান থেকেই এ বার দিল্লি হাই কোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করলেন তাঁরা!

Advertisement

গত ৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতের পর উত্তর গোয়ার আরপোরার ওই নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়। কী ভাবে আগুন লাগল, তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। আগুন লাগার দু’টি কারণ উঠে এসেছে। এক, ওই ক্লাবে বেসমেন্টে রেস্তরাঁয় প্রথমে আগুন লাগে। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুন ধরে যায়। পরে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে ক্লাবের অন্যত্র। এ ছাড়াও, আগুন লাগার আরও একটি সম্ভাব্য কারণের কথা বলা হচ্ছে। ক্লাবে মধ্যরাতে যখন নাচ চলছিল, তখন কর্মীরা কিছু আতশবাজি পোড়ান। তা থেকেই আগুন ছড়ায়।

অগ্নিকাণ্ডের পর পরই সকলের চোখের আড়ালে সৌরভ এবং গৌরব ভারত ছেড়ে উড়ে যান তাইল্যান্ডের ফুকেটে। তদন্ত এড়াতেই ভারত ছেড়েছেন তাঁরা, এমনই দাবি পুলিশের। এফআইআর দায়েরের পরই দুই ভাইয়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় তারা। কিন্তু কাউকেই পাওয়া যায়নি তাঁদের ঠিকানায়। তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইন্টারপোলের সাহায্যও নিতে চলেছেন তদন্তকারীরা।

প্রশ্ন থাকছে, তাইল্যান্ড থেকে কি দু’জনকে ভারতে ফিরিয়ে আনতে পারবে এ দেশের পুলিশ? তাঁদের ফিরিয়ে আনতে ভারত-তাইল্যান্ডের মধ্যে স্বাক্ষর হওয়া প্রত্যর্পণ চুক্তির সাহায্যও নিতে পারেন তদন্তকারীরা। ২০১৩ সালে দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি সই হয়। তা কার্যকর হয় ২০১৫ সালে। চুক্তি অনুযায়ী, সন্ত্রাসবাদ, আন্তর্জাতিক অপরাধ এবং অর্থনৈতিক অপরাধে নাম জড়ানো অভিযুক্তদের প্রত্যর্পণের জন্য আইনি সহায়তা দেওয়া হবে। বিচারের জন্য বা সাজাপ্রাপ্ত আসামির প্রত্যর্পণের সুযোগের কথাও চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে। তবে কোনও ব্যক্তির প্রত্যর্পণের জন্য উভয় দেশের আইন অনুসারে কমপক্ষে এক বছরের কারাদণ্ডযোগ্য অপরাধ হতে হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন