Family Death In Maharashtra

শুধু অভাব আর অভাব! বাবা-মাকে খুন করে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে নিজেদের শেষ করলেন দুই সহোদর!

তদন্তকারীদের দাবি, বাড়িতে অভাবের জন্য বাবা-মাকে খুন করেন দুই ভাই। তার পর একসঙ্গে রেললাইনে গিয়ে আত্মহত্যা করেন সহদোরেরা। তদন্তে এ-ও উঠে এসেছে, বাড়ির কর্তা রমেশ অসুস্থ ছিলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:০৪

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বাড়িতে প্রচণ্ড অর্থাভাব। অনটন তাঁদের নিত্যসঙ্গী। অহরহ অশান্তি লেগে থাকত পরিবারে। এই অবস্থা সহ্য করনে না পেরে বাবা-মা খুন করে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন দুই ভাই। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নান্দেড় জেলায়। একই পরিবারের চার সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তিন দিন পর কারণ খুঁজে বার করল পুলিশ।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ রমেশ সোনাজি লাখে এবং তাঁর স্ত্রী রাধাবাঈ লাখের নিথর দেহ উদ্ধার হয় তাঁদের বাড়ি থেকে। স্বামীর বয়স ৫১ বছর, স্ত্রী ৪৫। প্রতিবেশীদের মারফত দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কিন্তু দম্পতির দুই সন্তানের খোঁজ পায়নি তারা। এর কিছু ক্ষণ পর পুলিশ খবর পায় কয়েক কিলোমিটার দূরে মুগট রেলস্টেশনের কাছে দুই যুবকের ট্রেনে কাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরে জানা যায়, মৃত দুই যুবক রমেশ এবং রাধাবাঈয়েরই দুই পুত্র। ২৫ বছরের উমেশ এবং ২৩ বছরের বজরং-এর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।

চার মৃত্যুর কারণ খুঁজতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে পরিবারের দুরবস্থার কথা। তদন্তকারীদের দাবি, বাড়িতে অভাবের জন্য বাবা-মাকে খুন করেন দুই ভাই। তার পর একসঙ্গে রেললাইনে গিয়ে আত্মহত্যা করেন সহদোরেরা। তদন্তে এ-ও উঠে এসেছে, বাড়ির কর্তা রমেশ অসুস্থ ছিলেন। পক্ষাঘাত হয়েছিল। তা ছাড়া নানা অসুখে ভুগছিলেন। তাঁর চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন দুই ছেলে। উমেশ এবং বজরং ছোটখাটো কাজ করেন। বিশাল কিছু রোজগার করতেন না। পরিবারের অবস্থায় মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন দুই ভাই।

যদিও এখনই তদন্ত শেষ নয় বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার দুই ভাই একটি দোকানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে কী কিনেছিলেন তাঁরা, দোকানদারের সঙ্গে কোনও গন্ডগোল হয়েছিল কি না, এই সমস্ত তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

Advertisement
আরও পড়ুন