Humayun Kabir

১৩৫ থেকে ১৮২টি বিধানসভা আসনে উঠলেন হুমায়ুন কবীর, তৃণমূল এবং বিজেপিকে ‘আটকাতে’ জোট কাদের সঙ্গে?

এর আগে হুমায়ুন কবীর জানিয়েছিলেন রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৩৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাঁর দল জনতা উন্নয়ন পার্টি। অন্তত ৯০টি আসন জেতাই তাঁর লক্ষ্য।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:৩৯
Humayun Kabir

হুমায়ুন কবীর। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যের বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মাঠ আরও বড় করছেন তৃণমূল ছেড়ে নিজের দল তৈরি করা হুমায়ুন কবীর। শনিবার জনতা উন্নয়ন দলের প্রতিষ্ঠাতা জানিয়েছেন, বিধানসভা ভোটে ১৮২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাঁর দল। জোট করছেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর সঙ্গে। তা ছাড়াও আসাদউদ্দিন ওয়েইসির মিমের সঙ্গে হাত মেলানোর চেষ্টা করছেন। যদিও হুমায়ুনের দলের সঙ্গে জোটের প্রশ্নে আইএসএফের তরফে কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি।

Advertisement

এর আগে হুমায়ুন জানিয়েছিলেন রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৩৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে জনতা উন্নয়ন পার্টি। অন্তত ৯০টি আসন জেতাই তাঁর লক্ষ্য। সরকার গঠনে নির্ণায়ক ভূমিকা নেবেন বলে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ভরতপুরের বিধায়ক। শনিবার তিনি বলেন, ‘‘আমাদের একটাই লক্ষ্য, বিজেপিকে রোখা। আবার যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে গদ্দার বলছেন, তাঁরাই প্রতি পদে মুসলিম সমাজের মানুষের সঙ্গে গদ্দারি করেছেন। ওয়াকফ (আইন) নিয়ে গদ্দারি করেছেন। বলেছিলেন, একাই দেখে নেবেন। কিন্তু ভাঁওতা দিয়েছেন।’’

এর পর বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে হুমায়ুন তাঁর পরিকল্পনার কথা জানান। তাঁর কথায়, ‘‘১৮২টি আসনে লড়াই করে কী ফল আনব...? একটা কথা বলে দিচ্ছি, মিরাকল রেজ়াল্ট হবে। বাংলার প্রবীণ এবং দক্ষ রাজনীতিকেরা যা পারেননি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কেউ বাংলা কংগ্রেস করেছিলেন, সিপিআই হয়েছিল সিপিএম...। বাংলার রাজনীতিতে আগামিদিনে আমি এবং আইএসএফ একজোট হচ্ছি। মিম যোগদান করলে স্বাগত।’’ যদিও আসন বণ্টন নিয়ে এখনই কিছু খোলসা করছেন না তিনি। হুমায়ুন জানান, যাঁদের সঙ্গে জোট করবেন বলছেন, তাঁদের জন্য ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। তার পর জোটের বিষয়টি ঘোষণা করে দেবেন।

হুমায়ুন জানিয়েছেন, দিনে তিনি তিনটি করে বিধানসভায় প্রচারে যাবেন। সময় বাঁচাতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করবেন। তবে তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম, কাউকে নিয়েই ভাবিত নন হুমায়ুন। তাঁর কথায়, ‘‘হোক না লড়াই! বাংলার মানুষে কাকে বেছে নেন, দেখা হোক পরীক্ষা করে।’’

গত বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করা আইএসএফ কি আগামী বিধানসভায় হুমায়ুনের দলের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন? প্রতিক্রিয়া নিতে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তাঁর এক সহযোগী জানিয়েছেন, বিধায়ক কর্মসূচিতে ব্যস্ত। পরে যোগাযোগ করতে।

Advertisement
আরও পড়ুন