(বাঁ দিকে) অভিযুক্ত মহিলা সুমঙ্গলা। (ডান দিকে) সুমঙ্গলার স্বামী শঙ্করমূর্তি। ছবি: সংগৃহীত।
চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে, মাটিতে ফেলে গলায় পা শ্বাসরোধ করে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। তার পর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ বস্তায় ভরে ৩০ কিলোমিটার দূরে ফেলে দিয়ে আসেন বলে অভিযোগ। প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল কর্নাটকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ২৪ জুনের। রাজ্যের টুমাকুরু জেলার কাড়াসেত্তিহালি গ্রামে শঙ্করমূর্তি নামে এক ব্যক্তিকে খুন করা হয়। তিনি ওই নিজের খামারবাড়িতে ছিলেন। ২৫ জুন তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, শঙ্করমূর্তির স্ত্রী সুমঙ্গলা মেয়েদের একটি হস্টেলে রাঁধুনির কাজ করেন। সেখানেই নাগরাজু নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ক্রমে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, স্ত্রী সুমঙ্গলার সঙ্গে নাগরাজুর এই সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছিলেন শঙ্করমূর্তি। ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। স্বামীকে তাঁদের রাস্তা থেকে সরাতে প্রেমিকের সঙ্গে মিলে খুন করার পরিকল্পনা সুমঙ্গলা। ঘটনার দিন শঙ্করমূর্তি একাই ছিলেন খামারবাড়িতে। সেখানে প্রেমিককে নিয়ে হাজির হন সুমঙ্গলা। তাঁদের দু’জনকে দেখেই কিছু একটা আঁচ করতে পেরেছিলেন শঙ্করমূর্তি। কিন্তু কিছু করার আগেই তাঁর চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেন সুমঙ্গলা। তার পর মুগুর দিয়ে মারধর করেন শঙ্করমূর্তিকে। একেবারে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য শেষে শঙ্করমূর্তিকে মাটিতে ফেলে তাঁর গলায় পা গিয়ে চেপে শ্বাসরোধ করে খুন করেন সুমঙ্গলা এবং তাঁর প্রেমিক।
তার পর দেহ লোপাট করতে একটি বস্তায় শঙ্করমূর্তির দেহ ভরেন দু’জনে। গাড়িতে করে সেই দেহ ৩০ কিলোমিটার দূরে অন্য একটি গ্রামে খেতের মধ্যে থাকা একটি কুয়োর মধ্যে ফেলে দিয়ে আসেন। তার পর পুলিশে একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করেন ২৫ জুন। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমেই যায় শঙ্করমূর্তির খামারবাড়িতে। সেখানে ধস্তাধস্তির চিহ্ন দেখতে পান তদন্তকারী আধিকারিকেরা। এমনকি লঙ্কর গুঁড়োও মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। তা থেকে তাঁদের সন্দেহ হয়। তার পরই সুমঙ্গলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন। তাঁর মোবাইলের তথ্য ঘেঁটে হত্যার পরিকল্পনার কথা জানতে পারে পুলিশ। তার পরই সুমঙ্গলাকে গ্রেফতার করা হয়।