হরিয়ানায় মৃত টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদব। ছবি: সংগৃহীত।
মায়ের জন্মদিনেই খুন হয়ে গেলেন হরিয়ানার টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদব! যখন তাঁকে লক্ষ্য করে তাঁর বাবা দীপক যাদব গুলি করেন, তখন রান্নাঘরে মায়ের জন্য বিশেষ রান্না করছিলেন তিনি। ইচ্ছা ছিল, ‘সারপ্রাইজ়’ দেবেন মাকে। তা আর হল না। বাবা দীপক যাদবের গুলিতে খুন হন রাধিকা!
পুলিশ সূত্রে খবর, ১০ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ছিল রাধিকার মা মঞ্জু যাদবের জন্মদিন। কিন্তু আগের রাত থেকে জ্বরে কাতরাচ্ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিছানা ছেড়ে ওঠার ক্ষমতা ছিল না তাঁর। অসুস্থ মায়ের জন্য খাবার তৈরির সময়ই বাবার গুলি খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রাধিকা। রক্তে ভেসে যায় গোটা রান্নাঘর।
রাধিকাকে খুনের অভিযোগে তাঁর বাবা দীপককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু কী ঘটেছিল, তা নাকি কিছুই টের পাননি, পুলিশকে এমনই জানিয়েছেন মঞ্জু। ঘটনা নিয়ে কিছু বলতে নারাজ তিনি। দীপকের ভাই কুলদীপের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করে তদন্ত করছে পুলিশ। কুলদীপ তাঁর জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, যখন ঘটনাটি ঘটে, তখন তিনি এক তলায় ছিলেন। দোতলায় ছিলেন তাঁর দাদা, বৌদি এবং রাধিকা। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ আওয়াজ শুনে প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন দাদার ঘরে প্রেসার কুকার ফেটেছে। উপরে উঠে দেখেন দোতলার রান্নাঘরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন রাধিকা। আর ড্রয়িংরুমের টেবিলের উপর রাখা তাঁর দাদার রিভলবার। কাছেই নিশ্চল অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিলেন দীপক!
কুলদীপের অভিযোগ, পুরো বিষয় দেখে তাঁর মনে হয়েছে দীপকই রাধিকাকে গুলি করে খুন করেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, রাধিকাকে গুলি করার কথা স্বীকার করেছেন দীপক। তবে কেন নিজের কন্যাকে গুলি করলেন তিনি? খুনের নেপথ্যে কী কারণ? ইতিমধ্যেই একাধিক কারণ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। প্রথমে দাবি করা হয়েছিল, রাধিকার রিল তৈরি করা নিয়ে আপত্তি ছিল দীপকের। বার বার বারণ করা সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। রাগের বশে রাধিকাকে গুলি করেন। পরে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীপক তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, রাধিকা নিয়ে আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীদের কটূক্তি শুনে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন, রাধিকা বন্ধ করে দিন তাঁর টেনিস অ্যাকাডেমি। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি না-হওয়ায় কন্যাকে গুলি করেন দীপক। এ ছাড়াও, খুনের নেপথ্যে কারণ হিসাবে উঠে আসছে রাধিকার মিউজ়িক ভিডিয়ো বানানোর প্রসঙ্গও।