দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরিয়ে আসছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং কে সি বেণুগোপাল। শুক্রবার, নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
বন্দে মাতরম্-এর সার্ধশর্তবর্ষ এবং এসআইআর তথা নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে সংসদে আলোচনায় বিজেপি ‘ব্যাকফুটে’ চলে গিয়েছে বলে রাহুল গান্ধী মনে করছেন। আজ কংগ্রেস সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে লোকসভার বিরোধী দলনেতার নির্দেশ, এই দুই আলোচনা থেকে কংগ্রেস তথা বিরোধী শিবির যে ফায়দা কুড়িয়েছে, তা পুঁজি করে আরও রাজনৈতিক আক্রমণ বাড়াতে হবে। রবিবার রামলীলা ময়দানে এসআইআর (বিশেষ নিবিড় সংশোধন)-এর বিরুদ্ধে কংগ্রেস জনসভা করতে চলেছে। সেখানে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ‘ভোট চুরি’ নিয়ে সুর চড়াতে চাইছেন রাহুল।
আজ কংগ্রেস সাংসদদের সঙ্গে রাহুলের বৈঠকে রামলীলা ময়দানের প্রস্তুতির সঙ্গে গত দু’সপ্তাহে সংসদের কাজকর্মের পর্যালোচনা হয়। ওয়েনাড়ের সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাও ছিলেন। প্রিয়ঙ্কা বৃহস্পতিবারই উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে রামলীলার প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। বিজেপি শুক্রবার অভিযোগ তুলেছে, কংগ্রেসে ‘রাহুল গোষ্ঠী’ ও ‘প্রিয়ঙ্কা গোষ্ঠী’-র মধ্যে লড়াই প্রকাশ্যে চলে আসছে। কিন্তু রাহুল কংগ্রেসের বৈঠকে বন্দে মাতরম্ নিয়ে লোকসভায় প্রিয়ঙ্কার বক্তৃতার ঢালাও প্রশংসা করেছেন। বৈঠকে রাহুল বলেন, বিজেপি বন্দে মাতরম্ নিয়ে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ তুলে কংগ্রেসকে কোণঠাসা করবে ভেবেছিল। এসআইআর নিয়ে বিরোধিতা করে বিরোধীরা অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতে চাইছে বলে অভিযোগ তুলেছিল। কিন্তু দু’টি আলোচনাতেই বিরোধীরা ‘আপারহ্যান্ড’ পেয়ে গিয়েছে বলে রাহুল মন্তব্য করেন। বৈঠকের পরে লোকসভায় কংগ্রেসের উপদলনেতা গৌরব গগৈ বলেন, “ভোট চুরি নিয়ে রাহুল গান্ধী যে তিনটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন, তা নিয়ে সংসদে আলোচনার জন্য তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। অমিত শাহ তাতে ঘাবড়ে যান এবং অসংসদীয় শব্দবলে বসেন।”
বিজেপি অবশ্য আজ পাল্টা অভিযোগ তুলেছে, লোকসভায় শাহ ভোট চুরি নিয়ে গান্ধী পরিবারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতেই রাহুল গান্ধী-সহ কংগ্রেস সাংসদেরা ‘পালিয়ে যান’। বিজেপি মুখপাত্র প্রেম শুক্ল বলেন, “রাহুল গান্ধীর সত্যের মুখোমুখি হওয়ার কোনওসাহস নেই।”
রাহুলের আজকের বৈঠকে কেরলের সাংসদ শশী তারুর যোগ দেননি। এই নিয়ে তৃতীয় বার তারুর কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে গেলেন না। এ দিনের বৈঠকে যোগ দিতে না পারার কথা অবশ্য তিনি আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। তারুর এ দিন কলকাতায় ছিলেন বলে দলকে জানিয়ে ছিলেন।