Dattatreya Hosabale

সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে বাদ দেওয়া হোক ‘সমাজতন্ত্রিক’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’, সওয়াল সঙ্ঘের

আরএসএস-এর ‘সরকার্যবাহ’ (সাধারণ সম্পাদক) দত্তাত্রেয় হোসাবলের মতে, জরুরি অবস্থার সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী অগণতান্ত্রিক ভাবে সংবিধান সংশোধন করেছিলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৫ ২৩:১২

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

জরুরি অবস্থার সময় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দুটি যোগ করেছিল। তাই ওই দুই শব্দ বাদ দেওয়া প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় স্বয়‌ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর ‘সরকার্যবাহ’ (সাধারণ সম্পাদক) দত্তাত্রেয় হোসাবলে এই মত প্রকাশ করলেন।

Advertisement

দিল্লিতে ‘জরুরি অবস্থার ৫০ বছর’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় হোসাবলে বলেন, ‘‘জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেস গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। সে সময় সংবিধানের প্রস্তাবনায় যে শব্দ যুক্ত করা হয়েছিল, তা কি আর বহাল রাখা উচিত!’’ ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন ইন্দিরার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল। ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ২১ মাসের ওই পর্বকে ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্ধকারতম অধ্যায়’ বলেন আরএসএসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা।

ঘটনাচক্রে, ইন্দিরা সরকারের আনা ১৯৭৬ সালের সংশোধনীর ফলে সংবিধানের প্রস্তাবনায় যোগ হয়েছিল ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ। এর ফলে ভারত ‘সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ থেকে পরিণত হয় ‘সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’-এ। নরেন্দ্র মোদীর জমানায় বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী-সহ কয়েক জন আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টে ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু গত বছর শীর্ষ আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল। কিন্তু আবার সেই বিতর্ক নতুন করে উস্কে দিলেন সঙ্ঘের ‘সরকার্যবাহ’।

Advertisement
আরও পড়ুন