Meghalaya Honeymoon Murder

স্বামীকে খুনের পর প্রেমিককে বিয়েও করে ফেলেন সোনম? দ্বিতীয় মঙ্গলসূত্র খুঁজে পেল পুলিশ

রাজা রঘুবংশীর দাদা বিপিন রঘুবংশী জানিয়েছেন, মেঘালয়কাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিশ দু’টি মঙ্গলসূত্র উদ্ধার করেছে। তা থেকেই সোনমের দ্বিতীয় বিয়ের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৫ ১২:১০
(বাঁ দিক থেকে) রাজা রঘুবংশী, সোনম রঘুবংশী এবং রাজ কুশওয়াহা।

(বাঁ দিক থেকে) রাজা রঘুবংশী, সোনম রঘুবংশী এবং রাজ কুশওয়াহা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে খুন হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের বাসিন্দা রাজা রঘুবংশী। খুনের ঘটনায় তাঁর স্ত্রী-সহ একাধিক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সেই ঘটনাতেই নতুন তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ। মিলেছে দ্বিতীয় একটি মঙ্গলসূত্র। যা থেকে তদন্তকারীদের অনুমান, সোনম আরও এক বার বিয়ে করে থাকতে পারেন। রাজার দাদা বিপিনও সেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। জানিয়েছেন, রাজার মৃত্যুর পরেই হয়তো প্রেমিক রাজ কুশওয়াহাকে বিয়ে করেছিলেন সোনম। দ্বিতীয় মঙ্গলসূত্রটি সেই বিয়েরই প্রমাণ। তবে মঙ্গলসূত্রটি আদৌ সোনমের কি না, কোথা থেকে কোন অবস্থায় তা পাওয়া গিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট করেনি পুলিশ।

Advertisement

মৃতের দাদা বিপিন সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘আমরা শুনেছি, এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে মেঘালয় পুলিশ দু’টি মঙ্গলসূত্র উদ্ধার করেছে। তার মধ্যে একটি তো রীতি অনুযায়ী গত ১১ মে বিয়েতে আমাদের পরিবারের তরফে সোনমকে উপহার দেওয়া হয়েছিল। অন্যটি হয়তো রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে সোনমের বিয়ের মঙ্গলসূত্র। ভাইকে খুনের পর ওরা যখন গা ঢাকা দিয়েছিল, হয়তো তখনই ওরা বিয়ে করে নেয়।’’

গত ২৩ মে মেঘালয় থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন রাজা এবং সোনম। ১০ দিন পরে ২ জুন চেরাপুঞ্জির জলপ্রপাতের ধার থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। এরও অনেক পরে উত্তরপ্রদেশের গাজ়িপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় সোনমকে। মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছিল, সোনম আত্মসমর্পণ করেছেন। রাজার খুনে তিনিই মূল অভিযুক্ত। এ ছাড়া, তাঁর প্রেমিক রাজ এবং কয়েক জন সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, খুনের কাজে সহায়তার জন্য রাজ তাঁদের টাকাও দিয়েছিলেন। তবে তাঁরা ভাড়াটে খুনি নন। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, বিয়ের আগে থেকেই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে রাজাকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন সোনম। ইচ্ছা করেই মধুচন্দ্রিমায় যান মেঘালয়ে।

এই ঘটনার পর মেঘালয়ে পর্যটকদের জন্য স্থানীয় ‘গাইড’-এর নিয়োগ বাধ্যতামূলক করে দেয় প্রশাসন। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্যেই এই সিদ্ধান্ত। বলা হয়েছে, ট্রেক করা বা হোটেলের বাইরে যে কোনও ঘোরাঘুরির জন্য ‘গাইড’ নিতে হবে পর্যটকদের। তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন