Ashoka University Professor

বাক্‌স্বাধীনতা জরুরি, কিন্তু সময় বুঝে বলা উচিত! ‘অপারেশন সিঁদুর’-মন্তব্যে ধৃত অধ্যাপককে জামিন দিয়ে বলল সুপ্রিম কোর্ট

‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করায় গ্রেফতার হয়েছিলেন অধ্যাপক আলি খান মুহম্মদ। তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের প্রশ্ন, বাক্‌স্বাধীনতা প্রত্যেকের আছে, কিন্তু এখন এ সব নিয়ে মন্তব্য করার সময়?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২৫ ১৪:০৬
Supreme Court grants interim bail to Ashoka University Professor regarding case over social media post about Operation Sindoor

অধ্যাপক আলি খান মুহম্মদ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্টের মামলায় অভিযুক্ত অধ্যাপক আলি খান মুহম্মদকে অন্তর্বর্তী জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সমাজমাধ্যম পোস্ট ঘিরে বিতর্কের জন্য অধ্যাপককে সতর্কও করেছে আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংহের বেঞ্চ জানিয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতিকে কোনও ভাবেই সস্তার প্রচার পাওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা কাম্য নয়।

Advertisement

বুধবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি কান্ত বলেছেন, “বাক্‌স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের অধিকার সকলেরই আছে। কিন্তু এখন কি এই সব নিয়ে কথা বলার সময়? একেই দেশ এই সবের (সন্ত্রাসবাদী হানা এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি) মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। দানবেরা এসে আমাদের সাধারণ মানুষের উপর হামলা করেছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা দরকার। এই পরিস্থিতিতে কেন সস্তার প্রচার পেতে হবে?”

হরিয়ানার সোনিপতের অশোক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ওই অধ্যাপক সম্প্রতি ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রসঙ্গে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন। ওই পোস্টের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর রুজু হয়েছে হরিয়ানায়। গ্রেফতারও হন অধ্যাপক। ওই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। বুধবার শীর্ষ আদালত ওই মামলায় অধ্যাপকের শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে।

অধ্যাপকের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি জানান, কোনও অপরাধমূলক উদ্দেশ্য নিয়ে ওই পোস্ট করেননি অধ্যাপক। তা ছাড়া, অধ্যাপক যে পোস্টটি করেছেন সেটি ভীষণ ভাবে দেশপ্রেমমূলক বলেও জানান সিব্বল। অধ্যাপকের পোস্টটি ‘জয় হিন্দ’ দিয়ে শেষ হয়েছে, সে কথাও জানান সিব্বল। তখন বিচারপতি কান্ত বলেন, “আপনার বোঝা উচিত কী পরিস্থিতি চলছে।”

সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে অধ্যাপক কোনও বক্তৃতা করতে পারবেন না। এ বিষয়ে তিনি কোনও নিবন্ধ লিখতে পারবেন না এবং সমাজমাধ্যমেও কোনও পোস্ট করতে পারবেন না। সম্প্রতি ভারতে সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং ভারতের পাল্টা জবাব প্রসঙ্গেও তিনি কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না। অধ্যাপককে পাসপোর্ট জমা রাখারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অধ্যাপক আলিকে অন্তর্বর্তী জামিন দিলেও তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআরে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত।

Advertisement
আরও পড়ুন