Goa Night Club Fire

অগ্নিকাণ্ডের পর তৎপরতা গোয়ায়! নিয়ম না-মানার অভিযোগে ঝাঁপ বন্ধ হল দুই জনপ্রিয় নৈশক্লাবের

বড়দিন এবং নববর্ষের মুখে গোয়ার সমস্ত পর্যটন ও বিনোদন প্রতিষ্ঠানের জন্য নানা বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়েছে। ক্লাবের ভিতরে আতশবাজির ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। বিধিনিষেধ চেপেছে রাত ১১টার পরে মদ বিক্রির উপরেও।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:২৬
গোয়ার সেই নৈশক্লাব।

গোয়ার সেই নৈশক্লাব। — ফাইল চিত্র।

উত্তর গোয়ার ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’ নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের পর তৎপরতা বাড়ল গোয়ায়। নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ম ভাঙার অভিযোগে ঝাঁপ বন্ধ করে দেওয়া হল গোয়ার দুই জনপ্রিয় নৈশক্লাবের।

Advertisement

সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যাবতীয় ব্যবস্থাপনা সরেজমিনে দেখার পর শনিবার গোয়ার দু’টি নৈশক্লাব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হল উত্তর গোয়ার ভাগাটোর সমুদ্রসৈকতে আরব সাগরের তীরে অবস্থিত ‘ক্যাফে সিওটু গোয়া’। উল্লেখ্য, এর আগে বেনিয়মের অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ভাগাটোরেরই ‘গোয়া ক্লাব’ নামে আর এক জনপ্রিয় নৈশক্লাব। তার দিন দুয়েকের মাথায় আর এক ক্লাবের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করল প্রশাসন।

শনিবার ওজরান্ট ক্লিফের ওই ক্লাব পরিদর্শনে গিয়েছিল গোয়া সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একটি দল। তাতেই জানা গিয়েছে, ২৫০ জনের বসার ক্ষমতা সম্পন্ন ক্লাবটিকে ছাড়পত্র (এনওসি) দেয়নি দমকল ও জরুরি পরিষেবা বিভাগ। সরকারি সূত্রে খবর, ক্লাবটির নির্মাণেও কিছু সমস্যা রয়েছে। অনুমোদিত সীমার বাইরে অতিরিক্ত জমিতে নির্মাণকাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এ সব কারণেই আপাতত ঝাঁপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই ক্লাবের।

গত ৬ ডিসেম্বর বার্চ বাই রোমিও লেন নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েক জন গ্রেফতার হয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছেন ওই নৈশক্লাবের দুই মালিক সৌরভ এবং গৌরব লুথরা। তাঁদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্য দিকে, ওই ঘটনার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। বড়দিন এবং নববর্ষের মুখে সে রাজ্যের সমস্ত পর্যটন ও বিনোদন প্রতিষ্ঠানের জন্য নানা বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে সরকার। ক্লাবের ভিতরে আতশবাজির ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। বিধিনিষেধ চেপেছে রাত ১১টার পরে মদ বিক্রির উপরেও। মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, নতুন নিয়ম না মানলেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঝাঁপ বন্ধ করে দেওয়া হবে। বাতিল হয়ে যেতে পারে লাইসেন্সও।

Advertisement
আরও পড়ুন