Yogi Adityanath on Illegal Immigrants

অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে, তৈরি করতে হবে ডিটেনশন সেন্টার! প্রশাসনকে নির্দেশ আদিত্যনাথের

উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা, জাতীয় নিরাপত্তা এবং সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা করাই প্রশাসনের অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে। এগুলির কোনও একটি ভঙ্গ করার চেষ্টা হলে তা সহ্য করা হবে না বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৩৪
যোগী আদিত্যনাথ।

যোগী আদিত্যনাথ। —ফাইল চিত্র।

অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ পদক্ষেপ করতে হবে। শনিবার জেলা প্রশাসনকে এমনই নির্দেশ দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এর পাশাপাশি অনুপ্রবেশকারীদের রাখার জন্য রাজ্যের প্রতিটি জেলায় একটি করে অস্থায়ী ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্য দেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করা ব্যক্তিদের ওই অস্থায়ী শিবিরগুলিতেই রাখা হবে। যাচাই প্রক্রিয়া শেষ না-হওয়া পর্যন্ত ডিটেনশন সেন্টারই হবে অনুপ্রবেশকারীদের অস্থায়ী ঠিকানা।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা, জাতীয় নিরাপত্তা এবং সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা করাই প্রশাসনের অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে। এগুলির কোনও একটি ভঙ্গ করার চেষ্টা হলে তা সহ্য করা হবে না বলে জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী (আদিত্যনাথ) প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে ওই এলাকায় থাকা অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন।”

বিবৃতিতে এ-ও বলা হয়েছে যে, ডিটেনশন সেন্টার থেকে নিয়ম মেনে অনুপ্রবেশকারীদের তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। নেপালের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের উন্মুক্ত সীমান্ত রয়েছে। দুই দেশের মানুষই সীমান্ত পেরোতে পারেন। তবে অন্য কোনও দেশের নাগরিকদের তেমন সুযোগ নেই। অন্য দিকে, দেশের ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর-এর কাজ চলছে। এই রাজ্যগুলির মধ্যে উত্তরপ্রদেশও রয়েছে। কেন্দ্রের যুক্তি, ভুয়ো ভোটার ধরার লক্ষ্যেই এসআইআর করা হচ্ছে! এই আবহে অনুপ্রবেশকারী শনাক্তকরণ নিয়ে সরগরম দেশের রাজনীতি।

শুক্রবারই গুজরাতের ভুজে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী(বিএসএফ)-র এক অনুষ্ঠানে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক হাত নেন বিরোধীদের। তিনি বলেন, ‘‘অনুপ্রবেশ ঠেকাতে অহরহ কাজ করছে বিএসএফ। ভারতে অনুপ্রবেশ বন্ধ করা কেবল দেশের নিরাপত্তা রক্ষার জন্যই প্রয়োজনীয় তা নয়, বরং দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দূষিত হওয়া থেকে রক্ষার করাও এর উদ্দেশ্য।’’ তাঁর অভিযোগ, কিছু রাজনৈতিক দল সরকারের অনুপ্রবেশ-বিরোধী অভিযানকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। শাহের কথায়, ‘‘এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভোটার তালিকার শুদ্ধকরণের যে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন, তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে তারা (বিরোধী শিবির)।’’

Advertisement
আরও পড়ুন