Recruitment Exam Scam

১২ লক্ষ টাকায় বিক্রি অধ্যাপক নিয়োগ পরীক্ষার জাল প্রশ্নপত্র! শোরগোল উত্তরপ্রদেশে

পরীক্ষায় জালিয়াতির বিষয় প্রকাশ্যে আসার পরই শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনার তদন্তের নেমে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (এসটিএফ) তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৩২
Uttar Pradesh STF has arrested three people on charges of cheating in the recruitment exam

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

উত্তরপ্রদেশের সহকারী অধ্যাপকের নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশ উচ্চশিক্ষা সার্ভিস কমিশন এই নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করে থাকে। পরীক্ষায় জালিয়াতির বিষয় প্রকাশ্যে আসার পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনার তদন্তের নেমে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (এসটিএফ) তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

এসটিএফ সূত্রে খবর, চক্রটি পরীক্ষার্থীদের বেছে বেছে নিশানা করত। মোটা টাকার বিনিময়ে জাল প্রশ্নপত্র বিলি করতেন প্রতারকেরা। এই চক্রের মূল পান্ডা বৈজনাথ পাল পেশায় এক জন অধ্যাপক। তিনি লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ডিগ্রি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়াতেন। বৈজনাথই জাল প্রশ্নপত্রের বিনিময়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর ছক কষতেন বলে অভিযোগ। এই চক্রের অন্যতম সদস্য মেহবুব আলি, বৈজনাথের নির্দেশের জাল প্রশ্নপত্র তৈরি করতেন। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত বৈজনাথের ভাই বিনয়ও।

তদন্তে জানা গিয়েছে, জাল প্রশ্নপত্র সরবরাহের জন্য চক্রটি কপিল এবং সুনীল নামে দুই পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা আদায় করেছিল। প্রাপ্য টাকার মধ্যে ১০ লক্ষই বৈজনাথের পকেটে গিয়েছে। বাকি দু’জন এক লক্ষ করে টাকা পেয়েছেন।

বিএনএসের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে এসটিএফ। ধৃতদের জেরা করে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। গত ১৬ এবং ১৭ এপ্রিল সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই পরীক্ষার পরই জালিয়াতির বিষয়টি নজরে আসে। পুলিশ-প্রশাসন, এই ধরনের চক্রের থেকে সতর্ক থাকার আবেদন করেছে। শুঝু তা-ই নয়, এমন কেউ যদি এমন চক্রের হদিস পান, তা পুলিশকে জানানোর কথা বলা হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন