ছবি : সংগৃহীত।
বিভিন্ন ফলের রস এবং ফলের শাঁস দিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া হয়। কারণ ফলে থাকা নানা ধরনের ভিটামিন ত্বককে পুষ্টির জোগান দিয়ে ভাল রাখতে পারবে বলে ধারণা। কিন্তু ত্বকের পরিচর্যায় কী ফুলও কাজে লাগতে পারে? রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, পারে। এই শীতে কিছু ফুলের নির্যাসও ত্বককে প্রাকৃতিক আর্দ্রতা জুগিয়ে ঔজ্জ্বল্য দিতে পারে। শুধু তা-ই নয়, দূরে রাখতে পারে ব্রণের মতো সমস্যাও।
১. গোলাপ জল ও গ্লিসারিনের ময়েশ্চারাইজার
গোলাপ ফুল ত্বকের পিএইচ লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে। শীতে খসখসে ভাব দূর করতে এটি দারুণ কার্যকর।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন: গোলাপের পাপড়ি জলে ফুটিয়ে গোলাপ জল বানিয়ে নিতে পারেন। তার পরে সেই গোলাপ জল ২ টেবিল চামচ নিয়ে তার সঙ্গে ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে একটি বোতলে ভরে রাখুন। প্রতিদিন রাতে ঘুমোনোর আগে পরিষ্কার ত্বকে এটি সিরাম হিসেবে ব্যবহার করুন। এতে ত্বক নরম ও কোমল থাকবে।
২. গাঁদা ফুলের ফেসপ্যাক
শীতকালীন ফুল গাঁদাতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ত্বকের সংক্রমণ এবং ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমায় এবং প্রাকৃতিক ভাবে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন: ২-৩টি টাটকা গাঁদা ফুলের পাপড়ি বেটে নিন। এর সাথে ১ চামচ মধু এবং অল্প কাঁচা দুধ মিশিয়ে ঘন প্যাক তৈরি করুন। এটি মুখে ও গলায় লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি শীতের শুষ্কতা এবং তার থেকে ত্বকে আসা ম্লান বা অনুজ্জ্বল ভাব দূর করে ত্বককে সজীব রাখে।
৩. জবা ফুলের অ্যান্টি-এজিং মাস্ক
জবা ফুলকে বলা হয় ‘প্রাকৃতিক বোটক্স’। এটি ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখতে এবং কালচে ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন : জবা ফুলের পাপড়ি শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন অথবা তাজা পাপড়ি বেটে নিন। এর সঙ্গে ১ চামচ টক দই মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখুন। এরপর বৃত্তাকারে মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবেও কাজ করে।