Cracked lips solution

শীতে ঠোঁটের ভিজে ভাব দ্রুত উধাও হচ্ছে? ঠোঁট ফাটার কারণ হতে পারে পুষ্টির অভাবও

ঠোঁটে তৈলগ্রন্থির সংখ্যা কম থাকে। ফলে ত্বকের ক্ষেত্রে যে ভাবে তেল বা সিবাম নিঃসৃত হয়ে ত্বককে নরম এবং আর্দ্র রাখে, ঠোঁটে তা হয় না। তার উপর শীতে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় ঠোঁট দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায় এবং ফেটে যায়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:৪৫

ছবি : সংগৃহীত।

শীতে ঠোঁট ফাটার সমস্যা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে যদি দেখেন, ঠোঁটে ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি বা লিপ বাম দেওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই আবার টান পড়ছে, ঠোঁট থেকে ভিজে ভাব উধাও হচ্ছে, এমনকি চামড়া শুকিয়ে উঠেও যাচ্ছে কখনও সখনও, যা টেনে তুলতে গেলে হয়তো কেটে গিয়ে জ্বালা করছে ঠোঁট, তবে এ সমস্যার আরও কয়েকটি কারণ থাকতে পারে। যার একটি হতে পারে পুষ্টির অভাব।

Advertisement

বেঙ্গালুরুর ত্বকের চিকিৎসক প্রিয়ঙ্কা রেড্ডি এ ব্যাপারে নিজের সমাজমাধ্যম অ্যাকাউন্টে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলছেন, ‘‘এমনিতে শীতে ঠোঁট ফাটার প্রধান কারণ হল ঠোঁটে তৈলগ্রন্থির সংখ্যা কম থাকা। ফলে ত্বকের ক্ষেত্রে যে ভাবে তেল বা সিবাম নিঃসৃত হয়ে ত্বককে নরম এবং আর্দ্র রাখে, ঠোঁটে তা হয় না। তার উপর শীতে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় ঠোঁট দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায় এবং ফেটে যায়। সাধারণ ভাবে শীতে এই শুষ্ক ভাব দিনে কয়েক বার ক্রিম, ময়েশ্চারাইজ়ার, পেট্রোলিয়াম জেলি দিলে নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা। তবে যাঁদের সমস্যা তার পরেও কমে না, বুঝতে হবে, তাঁদের অন্য সমস্যা রয়েছে।’’

শীতে অতিরিক্ত ঠোঁট ফাটার কারণ

১. বার বার জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটলেও বেশি ফাটে ঠোঁট। কারণ, লালা ঠোঁটের প্রাকৃতিক তৈলাক্ত সুরক্ষা স্তরকে ভেঙে দেয় এবং ফলে তা ঠোঁটকে আরও শুষ্ক করে তোলে।

২. যারা জল কম খান, তাঁদের ক্ষেত্রেও ঠোঁট ফাটার সমস্যা বেশি হতে পারে। পর্যাপ্ত জল খেলে এই সমস্যা কমবে।

৩. অ্যালার্জি বা চর্মরোগ থেকেও ঠোঁট ফাটতে পারে। চিলাইটিস, ডার্মাটাইটিসের মতো চর্মরোগ থাকলেও ঠোঁট ফাটতে পারে বেশি। এমন ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক চিকিৎসা করা দরকারি।

৪. রেটিনয়েড জাতীয় ওষুধ খেলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ঠোঁট বেশি ফাটতে পারে।

৫. যাঁরা নিয়মিত ধূমপান করেন, তাঁদের ঠোঁট ফাঁটার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

৬. কিছু পুষ্টির অভাবেও ঠোঁট ফাটার সমস্যা বাড়তে পারে। ঠোঁট ফেটে রক্ত পড়া এমনকি, ঠোঁটের কোণেও ঘা দেখা দিতে পারে সে ক্ষেত্রে।

কোন কোন পুষ্টির অভাবে ঠোঁট ফাটতে পারে?

ভিটামিন-বি কমপ্লেক্সের অভাবে, বিশেষ করে ভিটামিন বি ২ বা রাইবোফ্লেভিনের অভাব হলে তা থেকে ঠোঁটের ভিজে ভাব কমে। ভিটামিন বি ২ ত্বক, স্নায়ু এবং চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। দই, দুধ, চিজ়, ডিম, মুরগির বুকের মাংস, মেটে, মাছ ইত্যাদিতে এই ভিটামিন থাকে।

ভিটামিন বি ৩-এর অভাবেও ঠোঁটের শুষ্কতা, লালচে ভাব এবং ফাটা দেখা দিতে পারে।

আয়রন, জ়িঙ্ক এবং ফলিক অ্যাসিডের মতো খনিজের ঘাটতিতেও ঠোঁট ফাটতে পারে।

Advertisement
আরও পড়ুন