Chia Seeds for Hair Loss

চুল ঝরে ফাঁকা হয়ে আসছে মাথা? চিয়া বীজের সঙ্গে একটি মাত্র উপাদান মিশিয়ে মাখলেই উপকার পাবেন

সম্প্রতি কোরিয়ার মানুষদের রূপচর্চা অনুসরণ করা হচ্ছে গোটা দুনিয়ায়। এই টোটকায় তারই সংযোজন হয়েছে। ফলে কোরিয়ানদের মতো রেশমি চুল পেতে এবং চুল ঝরা বন্ধ করতে প্রয়োগ করতে পারেন আপনিও।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৫ ১৪:৫০
চিয়া বীজের সঙ্গে একটি উপাদান মিশিয়ে মাখুন।

চিয়া বীজের সঙ্গে একটি উপাদান মিশিয়ে মাখুন। ছবি: সংগৃহীত।

দূষণ, মানসিক অবসাদ, সব মিলিয়ে চুল ঝরে পড়ার ঘটনা ঘরে ঘরে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নানা রকম টোটকা প্রয়োগ করেন অনেকে। কিছু কাজ দেয়, কিছু দেয় না। তবে নতুন এক কৌশল নিয়ে চর্চা চলছে চারদিকে। সম্প্রতি কোরিয়ার মানুষদের রূপচর্চা অনুসরণ করা হচ্ছে গোটা দুনিয়ায়। এই টোটকায় তারই সংযোজন হয়েছে। ফলে কোরিয়ানদের মতো রেশমি চুল পেতে এবং চুল ঝরা বন্ধ করতে প্রয়োগ করতে পারেন আপনিও। মূল উপাদান কেবল দু’টি, চিয়া বীজ এবং চালের জল বা রাইস ওয়াটার।

Advertisement

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, জ়িঙ্ক, বায়োটিন পূর্ণ চিয়া বীজ ভিজিয়ে চুলে মাখলে হাইড্রেশনের কাজ ভাল হয়। অন্য দিকে মৃদু টনিক হিসেবে কাজ করতে পারে অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি১২-এ ভরা চালের জল। ত্বকের জন্য রাইস ওয়াটার যেমন উপকারী, ঠিক তেমন ভাবেই চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও কার্যকরী। দুই উপকরণ একসঙ্গে মিলে চুল ঝরে পড়ার সমস্যার সমাধান করতে পারে।

চিয়া বীজ ভিজিয়ে চুলে মাখলে হাইড্রেশনের কাজ ভাল হয়।

চিয়া বীজ ভিজিয়ে চুলে মাখলে হাইড্রেশনের কাজ ভাল হয়।

কী ভাবে বানাবেন?

উপকরণ

আধ কাপ চাল

অর্ধেক টেবিল চামচ চিয়া বীজ

২ কাপ জল

২-৩ ফোটা রোজ়মেরি বা ল্যাভেন্ডার অয়েল (চাইলে না-ও দিতে পারেন)

চুলের স্বাস্থ্যের জন্য রাইস ওয়াটার জন্য খুব কার্যকরী।

চুলের স্বাস্থ্যের জন্য রাইস ওয়াটার জন্য খুব কার্যকরী।

প্রণালী

যত ক্ষণ পর্যন্ত চাল ঝকঝকে পরিষ্কার না হয়ে যাচ্ছে, তত ক্ষণ জল দিয়ে ধুতে থাকুন। সেই জল ফেলে দিন। তার পর একটি বড় বাটিতে জল ঢেলে তাতে চালগুলিতে রেখে দিন আধ ঘণ্টা। তার পর জল ছেঁকে অন্য পাত্রে রেখে দিন। এ বার সেই রাইস ওয়াটারে চিয়া বীজগুলি মিশিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। চাইলে এতে এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে দিতে পারেন। স্প্রে বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন।

কী ভাবে ব্যবহার করবেন?

পরিষ্কার করা ভেজা চুলের যেখানে যেখানে ফাঁকা লাগবে, সেখানে স্প্রে বোতল করে ওই মিশ্রণ মেখে নিন। খানিক ক্ষণ মাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে। ঘণ্টাখানেক রেখে ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার করতে পারলে সবচেয়ে ভাল।

Advertisement
আরও পড়ুন