Special Intensive Revision

খসড়া তালিকায় শতাংশের হিসাবে ছত্তীসগঢ়ে বাদ পশ্চিমবঙ্গের দ্বিগুণ নাম! মধ্যপ্রদেশ, কেরলের হাল কী?

তাৎপর্যপূর্ণভাবে মধ্যপ্রদেশে স্থানান্তরিত বা নিখোঁজ ভোটারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাংশ। একই রকম ছবি ছত্তীসগঢ়েও। অন্য দিকে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে, ৩.১০ লক্ষ ভোটারের মধ্যে ৬৪ হাজার ভোটারের নাম নেই খসড়া তালিকায়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:২৯

— প্রতীকী চিত্র।

এসআইআর-পর্বের প্রথম ধাপের শেষে মঙ্গলবার কেরল, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হল। সঙ্গে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আন্দামান ও নিকোবরেও। বামশাসিত কেরলের খসড়া তালিকায় নাম বাদ গিয়েছে, ২৪ লক্ষ। যা কিনা দক্ষিণের রাজ্যটির মোট ভোটারের তুলনায় ৮.৬৫ শতাংশ। বাংলায় বাদ গিয়েছিল ৭.৫৭ শতাংশ। বিজেপিশাসিত মধ্যপ্রদেশে খসড়া তালিকায় বাদ গিয়েছে প্রায় ৪২ লক্ষ ৭৪ হাজার ভোটারের নাম। প্রায় ৯.৭৩ শতাংশ। বিজেপিশাসিত আর এক ছত্তীসগঢ়ে বাদ পড়েছে ২৩ লক্ষ ৬৪ হাজার ভোটার। শতকরা হিসাবে প্রায় ১৩ শতাংশ।

Advertisement

তাৎপর্যপূর্ণভাবে মধ্যপ্রদেশে স্থানান্তরিত বা নিখোঁজ ভোটারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাংশ। একই রকম ছবি ছত্তীসগঢ়েও। অন্য দিকে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে, ৩.১০ লক্ষ ভোটারের মধ্যে ৬৪ হাজার ভোটারের নাম নেই খসড়া তালিকায়। প্রসঙ্গত মোট ভোটার সংখ্যা কেরলে ২ কোটি ৭৮ লক্ষ, ছত্তীসগঢ়ে ২ কোটি ১২ লক্ষ এবং ৫ কোটি ৭৪ লক্ষ। এর আগে বিজেপিশাসিত গুজরাতেও একইরকম ছবি দেখা গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর-এর খসড়া ভোটার তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছিল। গুজরাতে ৭৩ লক্ষ ৭০ হাজার ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে।

পরিসংখ্যান বলছে, পশ্চিমবঙ্গে খসড়া তালিকায় ৭.৬ শতাংশ ভোটার বাদ পড়েছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে খসড়া ভোটার তালিকায় ১৪.৫ শতাংশ ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে। বিহারের পরে যে ১২টি রাজ্যে এসআইআর হয়েছে, সেখানে বড় রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, গুজরাত ও রাজস্থানের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ৫৮ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছে। ডিএমকে-শাসিত তামিলনাড়ুতে নাম বাদের সংখ্যা সবথেকে বেশি, ৯৭ লক্ষ। ভোটার তালিকার প্রায় ১৫ শতাংশ। গুজরাতে বাদ গিয়েছে ১৪.৫ শতাংশ। বিজেপি-শাসিত রাজস্থানে প্রায় ৪২ লক্ষ বা ৭.৬৯ শতাংশ নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়া এই ভোটারের অনুপাত যদি ভুয়ো ভোটার বা অনুপ্রবেশকারী ভোটার সংখ্যার পরিমাপক হয়, তা হলে বাংলার পরিসংখ্যান ওই রাজ্যগুলির থেকে পৃথক নয় কেন, সে প্রশ্নও উঠেছে ইতিমধ্যে।

Advertisement
আরও পড়ুন