Youth Secret of R Madhavan

বয়সের তুলনায় মাধবনকে ছোট দেখায়! যৌবন ফিরল কী ভাবে? ‘২১ দিনের জাদু’, বলছেন ম্যাডি

নায়কের বয়স এখন ৫৫। বয়সের ছাপ পড়লে, সেটাই হত স্বাভাবিক। কিন্তু মাধবনের ক্ষেত্রে তা হয়নি। উল্টে গ্ল্যামার বেড়েছে। সম্প্রতি বেশ কিছু ছবি মুক্তি পেয়েছে তাঁর। পর্দার মাধবনকে অনায়াসেই ৪০-৪৫-এর যুবক বলে চালিয়ে দেওয়া যায়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৫ ০৯:০১
যৌবন ফিরবে ২১ দিনেই! কী বলছেন আর মাধবন?

যৌবন ফিরবে ২১ দিনেই! কী বলছেন আর মাধবন? ছবি : সংগৃহীত।

যাঁরা নব্বইয়ের দশকে বড় হয়েছেন, তাঁরা জানেন, আর মাধবনকে ঘিরে মহিলা ভক্তদের পাগলামি কোন জায়গায় পৌঁছেছিল! গড়পরতা প্রেমের ছবিতে আত্মপ্রকাশ। নায়কোচিত চেহারাও নয়। শ্যামলা রঙ, মাঝারি উচ্চতা, তবে মুখ-চোখের গড়ন সুন্দর। হাসিটিও মিষ্টি। তাতেই ভারতীয় তরুণীরা মজেছিলেন। সেই মুগ্ধতা আজও বজায় রেখেছেন ম্যাডি! কোন জাদুবলে?

Advertisement

প্রথম সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পরে ২৪ বছর কেটে গিয়েছে। নায়কের বয়স এখন ৫৫। বয়সের ছাপ পড়লে সেটাই হত স্বাভাবিক। কিন্তু মাধবনের ক্ষেত্রে তা হয়নি। উল্টে গ্ল্যামার বেড়েছে। সম্প্রতি বেশ কিছু ছবি মুক্তি পেয়েছে তাঁর। পর্দার মাধবনকে অনায়াসেই ৪০-৪৫-এর যুবক বলে চালিয়ে দেওয়া যায়। কী করে এমনটা সম্ভব হল, তার জবাব সম্প্রতি দিয়েছেন অভিনেতা। তিনি বলছেন, তরুণ বয়সে ত্বকে এক ধরনের জেল্লা থাকে। সেই জেল্লা তিনি ফিরে পেয়েছেন মাত্র ২১ দিনে।

এক সাক্ষাৎকারে মাধবন জানিয়েছেন, কোনও রকম ওষুধ, অস্ত্রোপচার ছাড়াই এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তিনি। এমনকি, এখন যে তাঁর টানটান ঝরঝরে চেহারা, যার জন্য বয়েস অনেকটাই কম দেখায়, তা পেতে জিমেও যেতে হয়নি তাঁকে। তবে কী করেছেন?

মাধবনের ত্বক ভাল রাখার রুটিন

আর মাধবনের ত্বকের তারুণ্যের রহস্য কী?

আর মাধবনের ত্বকের তারুণ্যের রহস্য কী?

১। তেল

মাধবন বলছেন, ‘‘ছোটবেলায় ধরনের তেল মেখে স্নান করতাম প্রতি রবিবার। সেই অভ্যাস নিজের জীবনে ফিরিয়ে এনেছি। এখন আমি সপ্তাহে ৩-৪ বার ওই তেল মেখে স্নান করি।’’ কী কী তেল মাখেন মাধবন? তিনি বলছেন, ‘‘এক দিন তিলের তেল মাখি আর এক দিন নারকেল তেল।’’ তবে মাধবনের রূপচর্চার রুটিন এখানেই থেমে থাকে না।

২। রোদ

অভিনেতা বলছেন, ‘‘ভোরের রোদ্দুর আমার ভাল লাগে। আমি প্রতি দিন ভোরে সূর্যের আলো গায়ে লাগাই। আমি মনে করি সকালের ওই রোদই আমার ত্বককে টানটান রাখে। বলিরেখা পড়তে দেয় না।’’

৩। তাজা খাবার

ফ্রিজে রাখা খাবার খুব একটা খান না মাধবন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ছোটবেলায় যখন ফ্রিজ ছিল না, তখন তো টাটকা খাবার বানিয়েই খাওয়া হত। সেই অভ্যাসটাই রয়ে গিয়েছে। আমি ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে আবার গরম করে খাই না। প্যাকেটজাত খাবার খাই না। সব সময় টাটাকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি। যার জন্য সঙ্গে এক জন রাঁধুনিকে নিয়েই ঘুরি। যিনি আমাকে সাধারণ ডাল-ভাত-তরকারি রেঁধে দেন। যেমন খাবার আমার মা বানিয়ে দিতেন।

৪। ভাত

ওজন কমিয়েছেন কিন্তু ভাত খাওয়ায় রাশ টানেননি মাধবন। তিনি বলছেন, আমার ভাত খেতে ভাল লাগে। আমি মনে করি না, ভাত আমাদের শরীরের ক্ষতি করতে পারে। আমার দাদু-ঠাকুরমা ৯২-৯৩ বছর পর্যন্ত বেঁচেছিলেন। তাঁরা শয্যাশায়ীও ছিলেন না। ওঁদের দেখেছি তিন বেলা ভাত খেতে।

৫। ফল

মাধবন মনে করেন, মরসুমের ফল সেই ঋতুতেই খাওয়া উচিত। শীতের ফল যদি গ্রীষ্মে খাওয়া হয়, তবে তা শরীর ভাল ভাবে নেয় না।

৬। খাবার নিয়ম

মাধবন খাওয়াদাওয়ার আরও কিছু নিয়ম মেনে চলেন। খাবার খাওয়ার সময় তিনি একটি খাবারকে অন্তত ৪৫-৬০ বার চিবোনোর চেষ্টা করেন। সবুজ শাকসব্জি এবং সহজপাচ্য খাবার বেশি খান। দুপুর তিনটের পরে কোনও কাঁচা খাবার খান না। সন্ধ্যে পৌনে সাতটার মধ্যে দিনের খাওয়া শেষ করেন। তার পরে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন অন্তত ১৪ ঘণ্টা। আর প্রচুর জল পান করেন।

Advertisement
আরও পড়ুন