fake vs original perfumes

সস্তায় নামী কোম্পানির সুগন্ধি কেনেন! সেটি কি আসল? ৫টি পদ্ধতি চিনিয়ে দেবে নকলটিকে

সুগন্ধি অনেকেই ব্যবহার করেন। কিন্তু বাজারে জনপ্রিয় সুগন্ধির জাল সংস্করণও রয়েছে। খাঁটি সুগন্ধি চেনার কয়েকটি উপায় রয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৫ ১৭:৫১
These 7 key signs can help you spot a fake perfume

প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।

দেশের বাজারে এখন বিদেশি সুগন্ধি সহজলভ্য। একটা সময় ছিল, যখন বিদেশ থেকে নামী ব্র্যান্ডের সুগন্ধি এ দেশে আমদানি করা হত। এখন অনেক কোম্পানি আন্তর্জাতিক মানের দেশেই সুগন্ধি তৈরি করছে। তবে, পাল্লা দিয়ে বাজারে নকল সুগন্ধিও ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময়েই সতর্ক না হলে জাল সুগন্ধি কেনার সম্ভাবনা তৈরি হয়। অথচ, আসল এবং নকল সুগন্ধির মধ্যে পার্থক্য চিনে নেওয়া সম্ভব।

Advertisement

১) মোড়ক: দামি সুগন্ধি প্রস্তুতকারক সংস্থা ব সময় মোড়ক তৈরির উপর গুরুত্ব দেয়। তাই বাইরে থেকে তাদের লোগো, পরিষ্কার মোড়ক দেখে বোঝা সম্ভব, সুগন্ধিটি খাঁটি কি না। বাক্সটি যদি হালকা মনে হয় বা তার গায়ে লেখা অক্ষর যদি ঝাপসা হয়, তা হলে সেই সুগন্ধি কেনা উচিত নয়। মোড়কের বাইরের সিল যদি ভাঙা থাকে, তা হলেও সতর্ক হওয়া উচিত।

২) বারকোড: খাঁটি দামি সুগন্ধির ক্ষেত্রে বোতলের গায়ে ব্যাচ নম্বর এবং সংশ্লিষ্ট বারকোড থাকে, যার মাধ্যমে একাধিক তথ্য জানা সম্ভব। সুগন্ধির বারকোড যদি ঝাপসা হয়, তা তার উপর কোনও ধরনের দাগ লেগে থাকে, তা হলে সেই সুগন্ধি কেনা উচিত নয়।

৩) সুগন্ধির বোতল: সুগন্ধির ক্ষেত্রে নির্মাতারা শিশির গঠনশৈলীর উপর জোর দেন। জনপ্রিয় সুগন্ধিকে তার শিশির মাধ্যমেই চেনা যায়। সাধারণত শিশিগুলি ওজনদার হয়। তাই কেনার আগে শিশিটিকে কাছ থেকে দেখে নেওয়া উচিত। প্রয়োজনে ইন্টারনেটে শিশির আসল ছবি দেখে নেওয়া যেতে পারে। নাম, লোগো এবং অন্যান্য তথ্য যদি না মেলে, তা হলে কেনা উচিত নয়।

৪) গন্ধ: খাঁটি সুগন্ধির গন্ধের মধ্যে একাধিক স্তর থাকে। তা এক বার ত্বকে বা পোশাকে স্প্রে করার পর দীর্ঘ সময় সেই গন্ধ পাওয়া যায়। কিন্তু নকল সুগন্ধির মধ্যে সস্তা রায়াসনিক মেশানো হয়। সুগন্ধির গন্ধ যদি ঝাঁঝালো হয়, বা ত্বকে স্প্রে করার পর জ্বালা অনুভূত হয়, তা হলে সতর্ক হওয়া উচিত।

৫) দাম: নামী কোম্পানির সুগন্ধির দাম বেশি হয়। কিন্তু জাল সুগন্ধির ক্ষেত্রে দাম অনেকটাই কম থাকে। উদাহরণ স্বরূপ, কোনও সুগন্ধি দোকানে ৩ হাজার টাকা দামে বিক্রি করা হলে, তার নকল সংস্করণের দাম ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। এ রকম ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া উচিত।

Advertisement
আরও পড়ুন