Monsoon Rash Remedies

বর্ষায় সারা শরীরে চুলকানি-র‌্যাশের সমস্যা হচ্ছে শিশুর? বাজারচলতি ক্রিমের বদলে কী মাখালে উপকার হবে

বর্ষা কালে বৃষ্টি ভেজা ত্বকে যেমন র‌্যাশ, চুলকানির সমস্যা হয়, তেমনই এই সময় পেট খারাপ, ডায়রিয়া থেকেও ছাপ পড়ে ত্বকে। এগজ়িমা, অ্যালার্জি বর্ষার খুূবই সাধারণ সমস্যা। বিশেষ করে ছোটদের ত্বকে অ্যালার্জি হয় এই সময়ে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৫ ১৬:০৯
বর্ষার সময়ে শিশুর ত্বকে চুলকানি, অ্যালার্জির সমস্যা বাড়লে কী করবেন?

বর্ষার সময়ে শিশুর ত্বকে চুলকানি, অ্যালার্জির সমস্যা বাড়লে কী করবেন? ছবি: ফ্রিপিক।

বর্ষায় ত্বকে চুলকানি, র‌্যাশের সমস্যা লেগেই থাকে। যদি বৃষ্টিতে ভিজে আসেন, দেখবেন ভেজা জায়গায় কিছু ক্ষণ পরেই চুলকানি শুরু হচ্ছে। ছোটদের এই সমস্যা বেশি হয়। দীর্ঘ সময় ভেজা জামাকাপড়ে থাকলে এমন হতে পারে। চুলকানির জায়গায় লালচে র‌্যাশ, ফুস্কুড়ি বেরিয়ে যায়। আবার যদি ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ হয়, তার থেকে জ্বালা, এগজ়িমা হতে পারে। বৃষ্টির দিনে অ্যালার্জির সমস্যাও বাড়ে অনেক শিশুর, তার থেকে ত্বকে র‌্যাশ বা অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস হতে পারে। তাই যে কোনও কারণেই চুলকানি হোক না কেন, নখ দিয়ে না চুলকে তার বদলে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। বাজারচলতি ক্রিমগুলিতে অনেক বেশি রাসায়নিক থাকে। তাই বদলে ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করলে র‌্যাশের সমস্যা কমতে পারে।

Advertisement

বর্ষায় শিশুর ত্বকের যত্ন

শিশুর ত্বকে যদি ধারাবাহিক ভাবে ফুসকুড়ি, চুলকানির সমস্যা চলতেই থাকে তা হলে গুরুত্ব নিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ ছাড়াও হাঁচি, শ্বাসকষ্টও অ্যালার্জি তো আছেই। বাড়িতে কারও যদি অ্যালার্জি থাকে তা হলে এই ধরনের উপসর্গ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুকে চর্মরোগ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।

স্নানের পর ত্বক সামান্য ভেজা থাকা অবস্থাতেই হালকা, সুগন্ধহীন এবং হাইপোঅ্যালার্জেনিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। পেট্রোলিয়াম জেলি-ভিত্তিক ভারী ময়েশ্চারাইজ়ার এড়িয়ে চলুন, যা লোমকূপ বন্ধ করে দিতে পারে। প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ়ার হিসেবে নারকেল তেল খুব উপকারী। এতে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ রয়েছে, যা চুলকানি ও র‌্যাশ কমাতে সাহায্য করে। এটি স্নানের পর মালিশ করতে পারেন।

শিশুকে সুতির পোশাক পরাতে হবে। সিন্থেটিক বা জর্জেটের পোশাক বেশি পরালে র‌্যাশের সমস্যা আরও বাড়বে।

যদি চুলকানি খুব বেশি হয়, তাহলে ওট্‌মিল ব্যবহার করতে পারেন। একটি সুতির কাপড়ে এক মুঠো ওট্‌স ভরে সেটি স্নানের জলে ডুবিয়ে দিন। এই জলে শিশুকে স্নান করালে চুলকানি এবং জ্বালা কমতে পারে। তা ছাড়া ওট্‌সের সঙ্গে মধু মিশিয়ে মাখালেও চুলকানি ও জ্বালা ভাব কমবে।

এক বালতি ঠান্ডা জলে এক কাপ বেকিং সোডা মিশিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টা। এই জলে শিশুকে স্নান করান। এতে ত্বকের প্রদাহ কমবে।

এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। শিশুর চর্মরোগ হলে বা অ্যালার্জির সমস্যা বাড়লে ঘরোয়া প্রতিকারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

Advertisement
আরও পড়ুন