Ghost Curl Hairstyle

বলিউড মজেছে ‘ঘোস্ট কার্ল’-এ, এমন কেশসজ্জা নিয়ে কেন হইচই? বাড়িতে কী ভাবে করবেন?

কোঁকড়া ভাব আছে অথচ স্পষ্ট নয়। দেখলে মনে হয় ঢেউখেলানো ভাব। এমন কেশসজ্জা নিয়ে কেন হইচই?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:৫৬
আলিয়া ভট্টের এমন কেশসজ্জা কী ভাবে করা সম্ভব?

আলিয়া ভট্টের এমন কেশসজ্জা কী ভাবে করা সম্ভব? ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

ঘুমে থেকে উঠে দেখলেন, চুলে পরিপাট্য নেই, অথচ হালকা এলোমেলো ভাব। কেমন দেখাবে? জট পড়া চুল নয়, য়াবার কেয়ারি করাও নয়। এমনই চুলের সজ্জা নিয়েই হলি-বলি-টলিউডে চর্চা। একেই কেউ বলছেন ‘ঘোস্ট কার্ল’, কেউ আবার ‘ঘোস্ট ওয়েভস’।

Advertisement
অভিনেত্রী জাহ্নবী কপূরের চুলের সজ্জাও কিছুটা এমনই।

অভিনেত্রী জাহ্নবী কপূরের চুলের সজ্জাও কিছুটা এমনই। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

একেবারে মসৃণ, সোজা চুল এখন খানিক পুরনো ফ্যাশন। বরং মসৃণ চুল নানা ভাবে কোঁকড়ানো, ঢেউখেলানো দেখানোর প্রবণতাই তৈরি হয়েছে। চুলের কোঁকড়ানো ভাব থাকবে বাইরের দিকে, এমন আউট কার্ল নিয়ে মাতামাতি। কোঁকড়া চুলের সজ্জাই পছন্দ করছেন বিভিন্ন বয়সিরা। তবে তার মধ্যেই নজরে পড়ছে ‘ঘোস্ট কার্ল’।

কী এর বিশেষত্ব, কেন এমন নাম?

এমন কেশসজ্জায় যত্ন করে বানানো কোঁকড়া ভাব দৃশ্যমান হয় না। কিছু সময় অন্তর সেই কেশসজ্জা আবার পরিপাটি করে নেওয়ার প্রয়োজনও পড়ে। বরং হাওয়ায় খুলে যাওয়া সেই কোঁকড়া চুলের এলোমেলো ভাবই এক বাড়তি সৌন্দর্য যোগ করে। অযত্নেও ধরা দেয় আলগা চটক। এটাই এমন কেশসজ্জার মূল ভাবনা।

আসলে এ ক্ষেত্রে নিখুঁত কোঁকড়া বা ঢেউখেলানো চুল থাকে না। এক ঝলকে দেখলে মনে হবে, চুল কোঁকড়ানো, কিন্তু তাকে স্পষ্ট বলে মালুম হবে না। সম্ভবত এই অস্পষ্টতা থেকেই এমন নামকরণ, কেউ কেউ মনে করেন।

পরিপাট্যের অভাবেও চুল সুন্দর লাগে। অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট।

পরিপাট্যের অভাবেও চুল সুন্দর লাগে। অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

তবে নাম যা-ই হোক না কেন, বলিউডে এমন কেশসজ্জা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আলিয়া ভট্ট থেকে তমান্না ভাটিয়া-সহ অনেক অভিনেত্রীকেই এমন কেশসজ্জায় দেখা গিয়েছে।

জনপ্রিয়তার কারণ কী

· কেশসজ্জাটি এক বার করার পর খুব বেশি খেয়াল রাখার দরকার হয় না।

· যাঁদের পক্ষে চুলের পারিপাট্য বজায় রাখা সম্ভব হয় না, তাঁদের জন্য ভাল।

অভিনেত্রী তমান্না ভাটিয়ার কেশসজ্জা।

অভিনেত্রী তমান্না ভাটিয়ার কেশসজ্জা। ছবি: সংগৃহীত।

· সোজা, কোঁকড়ানো, ঢেউখেলানো— যে কোনও চুলেই এমন কেশসজ্জা বেশ মানিয়ে যায়।

· সাবেক-সাম্প্রতিক— যে কোনও পোশাকের সঙ্গেই এমন কেশসজ্জা মানানসই হতে পারে।

বাড়িতে কী ভাবে করবেন ‘ঘোস্ট কার্ল’

· রাতে বিনুনি বেঁধে শুয়ে পড়ুন। সকালে উঠে চিরুনি খুব হালকা করে বুলিয়ে নিন। জট পড়ার সমস্যা আটকাতে অল্প সিরাম মেখে নিন।

· স্নানের পর এমন কেশসজ্জা করতে চাইলে চুল যখন বেশ কিছুটা শুকিয়ে যাবে, তখন বিনুনি বেঁধে নিন। হালকা ভিজে থাকা অবস্থায় তা করতে হবে। বেশ কিছু ক্ষণ এই ভাবে চুল রাখার পরে খোলা হাওয়ায় চুল শুকিয়ে নিন। তার পরে সিরাম বা চুল কোঁকড়া রাখার স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। আঙুলের সাহায্যে চুল কিছুটা সমান করে নিতে পারেন। তবে চিরুনি বোলানো যাবে না।

· কারও চুল হালকা ঢেউখেলানো বা মসৃণ হয়। সে ক্ষেত্রে চুল নীচের থেকে উপরে উল্টো করে গুটিয়ে মাথার উপর ক্লিপ বা ক্লাচারের সাহায্যে শক্ত করে আটকে রাখুন। রাতভর এ ভাবে রাখলে সকালে খুব আলগা কোঁকড়া ভাব চোখে পড়বে। চিরুনি না ব্যবহার করে হাতের সাহায্যে চুল সেট করে নিন। সেটিং স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।

Advertisement
আরও পড়ুন