Medifacial Benefits

পুজোর আগে মেডিফেশিয়াল করাবেন? সাধারণ ফেশিয়ালের চেয়ে কতটা আলাদা?

পুজো এসেই গেল। এখনও সালোঁয় গিয়ে ফেশিয়াল করানোর কথা যাঁরা ভাবছেন, তাঁরা মেডিফেশিয়াল করিয়ে দেখতে পারেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:১২
What is the difference between a regular facial and a medical facial, what are the benefits

সাধারণ ফেশিয়ালের চেয়ে কতটা আলাদা মেডিফেশিয়াল? ছবি: এআই।

বয়সের চাকাটা থামিয়ে তারুণ্য ধরে রাখতে কে না চান? কিন্তু, সময় এগোলে তার ছাপ পড়ে যায় ত্বকের ভাঁজে, মুখের গড়নে। ত্বকের এই বদল ঠেকিয়ে রাখতে অ্যান্টি-এজিং ফেশিয়ালের দিকে ঝুঁকেছেন অনেকেই। তবে যদি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে হয়, তা হলে সাধারণ ফেশিয়ালে কাজ খুব একটা হবে না। এর জন্য প্রয়োজন মেডিফেশিয়াল। পুজো এসেই গেল। এখনও সালোঁয় গিয়ে ফেশিয়াল করানোর কথা যাঁরা ভাবছেন, তাঁরা মেডিফেশিয়াল করিয়ে দেখতে পারেন। এই ফেশিয়াল আসলে কী, এর উপকারিতা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে রইল খুঁটিনাটির খোঁজ।

Advertisement

সাধারণ ফেশিয়ালের চেয়ে কতটা আলাদা মেডিফেশিয়াল

সাধারণ ফেশিয়াল মূলত ত্বক পরিষ্কার, এক্সফোলিয়েট এবং তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতার জন্য করা হয়। এতে মাসাজ, স্ক্রাব ও ক্রিম ব্যবহার করা হয় যা ত্বকের মৃতকোষ দূর করে চকচকে ও মসৃণ দেখায়। তবে এর ফল ক্ষণস্থায়ী। মেডিফেশিয়াল বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসাপদ্ধতি যা ত্বকের ক্ষত নিরাময় করতে পারে, বলিরেখা-ব্রণ দূর করে দীর্ঘমেয়াদী ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে পারে। এতে নানা রকম অ্যান্টি-এজিং থেরাপি পড়ে যা ত্বকের বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখতে পারে। সাধারণ ফেশিয়াল যে কোনও সালোঁতে গিয়ে করাতে পারেন, তবে মেডিকাল ফেশিয়াল বা মেডিফেশিয়াল অভিজ্ঞ ত্বক চিকিৎসকের কাছেই করতে হবে।

কী ধরনের মেডিফেশিয়াল করাতে পারেন?

এলইডি থেরাপি মেডিফেশিয়ালের মধ্যেই পড়ে। এই থেরাপি এখন বাড়িতেই করা যায়। এলইডি আলো খুব সহজে এবং অনেক কম সময়ে ত্বক মেরামত করতে পারে বলে মনে করেন চর্মরোগ চিকিৎসকেরা। সহজে এই থেরাপি করার জন্য এলইডি আলো দেওয়া মুখোশ বেরিয়ে গিয়েছে এখন। সেই মুখোশে নানা রঙের আলো লাগানো আছে। মুখে পরে সুইচ অন করলে নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো ত্বকে ঢুকবে এবং ত্বকের ক্ষত মেরামত করবে। আলোকরশ্মি ত্বকে ঢুকে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়াবে। ফলে ত্বকের মৃতকোষ দূর হবে। ত্বক অনেক বেশি সতেজ ও ঊজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

ত্বকে ব্রণর আধিক্য বেশি, কালো দাগছোপ বা মেচেতার দাগ রয়েছে, তাঁরা হাইড্রা ফেশিয়াল করাতে পারেন। হাইড্রা ফেশিয়ালে সবটাই হয় যন্ত্রের সাহায্যে। পদ্ধতি অনেকটা ‘ভ্যাকিউম ক্লিনার’-এর মতো। ত্বকের গভীর থেকে ধুলো-ময়লা টেনে বার করে আনা হয়। মূলত ‘ডিপ ক্লিনজ়িং’-এরই একটি ধরন হল হাইড্রা ফেশিয়াল।

অক্সি-জ়েট ফেশিয়ালও একধরনের মেডিফেশিয়াল। এতে ত্বকের কোষে অক্সিজেন ও কোলাজেন প্রবেশ করানো হয়। এতে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, বার্ধক্যের ছাপ মুছে যায়।

ব্রণ, ফুস্কুড়ি, র‌্যাশ বেশি থাকলে পিগমেন্টেশন ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন। রোদে পোড়া দাগ দূর করতেও এই ট্রিটমেন্ট করানো যেতে পারে।

Advertisement
আরও পড়ুন