ঈশা অম্বানী। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
তিনি কী পরেন, করেন, কী ভাবে কথা বলেন— তার সবটাই থাকে নজরে নজরে। আসলে তিনি যে সাধারণ কেউ নন, ধনকুবের মুকেশ অম্বানীর কন্যা ঈশা অম্বানী। সন্তান সামলাতে হয় তাঁকে। তা ছাড়া ব্যবসা, নানা রকম কাজ তো রয়েছেই।
ঈশার পোশাক নিয়ে যেমন চর্চা হয়, তেমনই তাঁর ত্বক ও সৌন্দর্য নিয়েও কম কথা হয় না। সকলের মনে হতেই পারে, বিশ্বের সবচেয়ে দামী প্রসাধনী দিয়ে নিয়ম করে রূপচর্চা করেন তিনি। তবেই না এমন ত্বক!
কিন্তু এক সাক্ষাৎকারে ঈশা বলছেন, তিনি না কি নিয়ম করে ত্বকের যত্নই নেন না। এমনকী রূপচর্চার প্রাথমিক ধাপ ফেসওয়াশ, ময়েশ্চারাইজ়ার এমনকী সানস্ক্রিন মাখতেও তিনি ভুলে যান। অথচ তার পরেও, তাঁর ত্বকে জেল্লা কী করে থাকে?
ঈশা বলছেন, ‘‘চুল হোক বা ত্বক— লোকজন তা দেখেন রূপটান বা কেশসজ্জা করার পরে।আসলে আমার চুল কোঁকড়ানো, খানিক রুক্ষ আর ফোলাও।’’ মুকেশ তনয়া জানিয়েছেন, বিশেষ অনু্ষ্ঠানে তিনি পেশাদার কেশসজ্জা শিল্পীদের সাহায্যে স্টাইলিং করান। তবে সব সময়ে নয়। বরং এখন তিনি নিজে যেমন, তাঁর ত্বক, চুল যেমন— সেটাই গ্রহণ করেছেন।
অনেকেই ত্বকের পরিচর্যা করতে গিয়ে প্রতিটি ধাপ নিখুঁত ভাবে পালন করেন। অনেকেই দামী জিনিসপত্রও মাখেন। অথচ ঈশার কথায় স্পষ্ট, সাধারণ ভাবেও ভাল থাকা যায়। প্রসাধনীর ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করছেন গুরুগ্রামের ত্বকের চিকিৎসক গুরবীন ওয়ারাইচ গরেকর। নেটপ্রভাবী চিকিৎসক মাঝেমধ্যেই ত্বক ভাল রাখার উপায় যেমন বাতলান, তেমনই ভুলভ্রান্তি নিয়ে সতর্ক করেন। গুরবীন বলছেন, ‘‘প্রসাধনী দেখেই কিনে ফেললে হয় না। তা আদৌ ত্বকের উপযোগী কি না বোঝা দরকার। প্রত্যেকেরই ত্বকের ধরন, সমস্যা আলাদা। তা বুঝে প্রসাধনী বাছাই করতে হবে।’’
একই সঙ্গে তিনি সতর্ক করছেন ত্বকের সমস্যা সমাধানে ১০০ শতাংশ কাজ হবে এমন বিজ্ঞাপনী চমকে বা পণ্যসংস্থার দাবিতে না ভুলতে। কারণ, চিকিৎসকের কথায়, এমন নিশ্চয়তা একজন চিকিৎসক যেখানে দিতে পারেন না, তা একটি প্রসাধনী কী ভাবে দেবে। বরং তাঁর পরামর্শ প্রলোভনে না পা দিয়ে কিংবা খুব সস্তার প্রসাধনী না বাছাই করে প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কেনার। তাঁর কথায়, ভিটামিন সি, রেটিনল এগুলি সঠিকমাত্রায় প্রয়োগ হলে, তার দাম থাকবে। তা বুঝেই জিনিস কিনতে হবে।