Hair Fall Problem

পার্বণ-উৎসবে বেড়ে যেতে পারে চুল ঝরা! কোন কারণে এমন হতে পারে?

উৎসবের আবহে ক্ষতি হতে পারে চুলের। কোন কারণগুলি সমস্যা বৃদ্ধি করে?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:০৬
কেন উৎসবের মরসুম চুল ঝরার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে?

কেন উৎসবের মরসুম চুল ঝরার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।

কালীপুজো, দীপাবলি, ভাইফোঁটা! পর পর উৎসব। এ সব মিটলে আছে জগদ্ধাত্রী পুজো।এমন উৎসবের আবহ কিন্তু চুল ঝরার নেপথ্য কারণ হতে পারে। কেশসজ্জা শিল্পীরা জানাচ্ছেন, চুল ঝরার একাধিক কারণের মধ্যে থাকে অযত্ন ও অস্বাস্থ্যকর আহার। উৎসবের দিনে চুলের বারোটা বাজিয়ে দিতে এমন সব কারণই।

Advertisement

জলের অভাব: নানা রকম ব্রত পালনের রেওয়াজ রয়েছে উৎসবের আবহে। কেউ কেউ নির্জলা উপোসও করেন।ব্রত পালন, উপোসের পর প্রয়োজন মতো জল খাওয়া না হলে, শরীরেও তার প্রভাব পড়ে।এমনিতেও উৎসবের আবহে হইচই করতে গিয়ে জল খাওয়া হয় না। কেউ কেউ তেষ্টা মেটাতে কার্বন বা চিনিজাতীয় পানীয়ে চুমুক দেন। এই সব কিছুর প্রভাব পড়তে পারে চুলে। এক-দু’দিন অনিয়ম হলে বিষয়টা আলাদা। তবে উৎসবের আগে-পরেও দৈনন্দিন রুটিনে বদল হয়। তা দীর্ঘ সময় চললে চুলের ক্ষতি হতে পারে। বরং এই সময়েও ডাবের জল, পাতিলেবুর শরবত, মৌরির জল, দইয়ের ঘোল বা ছাস— শরীর আর্দ্র এবং ভাল রাখতে সাহায্য করবে।

কেশসজ্জা: উৎসবে হয়ে উঠতে হবে নজরকাড়া। তাই রং, বৈদ্যুতিন যন্ত্রের ব্যবহারে রকমারি কেশসজ্জা, কায়দা করে বাঁধা চুল দীর্ঘ ক্ষণ সেট রাখতে রাসায়নিক মিশ্রিত সেটিং স্প্রের ব্যবহার হতেই থাকে। এর ফলে একটু একটু করে চুলের ক্ষতি হয়। তা লম্বা সময় ধরে চললে, চুল ঝরা শুরু হতে পারে।

অস্বাস্থ্যকর খাওয়া: পুজো-পার্বণ মানেই তেল, ঝাল, মশলাদার খাবার খাওয়া হবেই। ভাজাভুজি, মিষ্টি— কোনওটি স্বাস্থ্যকর নয়। ফলে এই সময়ে খাওয়াদাওয়ায় অনিয়মের প্রভাব পড়ে শরীরে। পেটের সমস্যা দেখা দেয়, বমি ভাব, বদ হজম— এই লক্ষণগুলি খুব সাধারণ। পেট বিগড়ে গেলে, লিভার ঠিক না থাকলে তার প্রভাব চোখেমুখে পড়ে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।

চুল ভাল রাখতে ফল, জল, পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণের পাশাপাশি, সঠিক উপকরণে কেশচর্চা জরুরি। দরকার পর্যাপ্ত ঘুম।

Advertisement
আরও পড়ুন