Bed Essentials

বিছানার ৫ জিনিসে নজর দিয়েই দেখুন, শরীর এলিয়ে দিলে আরামে ঘুম আসবে মুহূর্তে

দিনের শেষে আরামের ঘুমের চেয়ে সুখকর কিছুই হয় না। তবে তার জন্য একটু ভাবনাচিন্তা প্রয়োজন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৫ ১৯:৩১
শুলেই ঘুম আসবে। তবে বিছানা কেমন হতে হবে?

শুলেই ঘুম আসবে। তবে বিছানা কেমন হতে হবে? ছবি: সংগৃহীত।

দিনভর পরিশ্রম। শরীর শ্রান্ত। তবু ঘুম আসে না? কখনও ঘরের আনাচ-কানাচে চেয়ে, কখনও আবার জোর করে চোখ বন্ধ করে ঘুম আসার অপেক্ষায় থাকতে থাকতেই রাত কাবার হয়ে যায়?

Advertisement

এক-আধ দিন হলে আলাদা বিষয়। তবে ঘন ঘন এমন হলে, বিরক্তি হয়ে ওঠে লাগামছাড়া। এমন সমস্যায় কাজে আসতে পারে কিন্তু আপনার বিছানা। শুধু কয়েকটি সামান্য বদলেই আরামে ঘুম নেমে আসতে পারে চোখে।

১। গদি আরামদায়ক না হলে কিন্তু শুধু পিঠ-কোমরে ব্যথা নয়, ঘুমেরও বারোটা বাজতে পারে। গদি যত নরম, ততই আরাম, এমন ধারণা ঠিক নয়। বরং শরীরের সমস্যা অনুযায়ী বৈজ্ঞানিক পন্থায় তৈরি এমন অনেক গদি মেলে, যা তুলোর মতো নরম না হলেও আরামদায়ক। এতে কোমর, শিরদাঁড়ার সমস্যাও হয় না। এমন কোনও গদি কেনার কথা ভাবতে পারেন।

২। বালিশ মানে শুধু যে একটি আয়তাকার নরম বস্তু, সে ভাবনায় ইতি টানার সময় হয়েছে। বরং বালিশ নিয়ে চিন্তাভাবনা বিস্তর। স্পন্ডিলাইটিস, কোমরে ব্যথা— সমস্যা ভিন্ন, সেই অনুযায়ী বালিশও। শক্ত, উঁচু বালিশ যেমন ঘুমের পথে বাধা হতে পারে, তেমনই আবার সঠিক-আরামদায়ক বালিশ দ্রুত ঘুম আনতেও সাহায্য করে।

৩। রঙিন কুশন শুধু বিছানার সৌন্দর্য বাড়ায় না, বরং নরম কুশন আরামদায়কও। বিছানায় বসা, আধশোয়া হয়ে বই পড়ার সময়েও কুশন নানা কাজে লাগানো যায়।

৪। বিছানার চাদরও আরামের জন্য কম গুরত্বপূর্ণ নয়। সুতির নরম বিছানার চাদরের বিকল্প হয় না। কাপড়ের মান যত ভাল হবে, ততই তা আরামদায়ক হবে। সে কারণেই চাদর নিয়েও ভাবা দরকার।

৫। গ্রীষ্মপ্রধান রাজ্যে প্রায় বছরভরই বাতানুকূল যন্ত্র চলে। সে কারণে গায়ের ঢাকাটিও আরামদায়ক হওয়া জরুরি। এসি কমফর্টার নরম, হালকা। আবার সেটি বিছানার চাদরের মতো পাতলা নয়। বাতানুকূল যন্ত্র চললে ঘর ঠান্ডা হয়ে যায়। পাতলা চাদর যে উষ্ণতা এবং আরাম দিতে অপারগ, তা দিতে পারে এমন কমফর্টার।

Advertisement
আরও পড়ুন