Entryway Home Decoration

ঘরের সজ্জা পরিপাটি, তবে অতিথি দরজা থেকে ঘরে আসবেন যে পথে, তা নিয়ে ভেবেছেন কি?

ঘর সাজানোয় নজর, কিন্তু বাদ যায় কি বাড়ির আনাচকানাচ? বাড়িতে প্রবেশের দরজা থেকে বৈঠকখানা পর্যন্ত যাওয়ার জায়গাটিও কেন সুন্দর করে সাজানো দরকার?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:০২
বাড়ির প্রবেশ দরজার পরের অংশটি সাজাবেন কী ভাবে?

বাড়ির প্রবেশ দরজার পরের অংশটি সাজাবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।

খাওয়ার জায়গা, বসার ঘর, শোয়ার ঘর পরিপাটি। স্নানঘরও পরিচ্ছন্ন, ছিমছাম। তবে এত কিছুর মধ্যে অনাদরে রয়ে যায়নি তো বাড়িতে প্রবেশের স্থানটি? অতিথি বাড়িতে আসবেন বলে বসার জায়গাটি সুন্দর করে সাজিয়েছেন, কিন্তু যে পথটি ধরে অতিথি আসবেন বা যে স্থানটি বাড়িতে ঢুকেই তাঁর চোখে পড়বে, সেখানকার পরিপাট্য নিয়ে আলাদা করে ভেবেছেন কি?

Advertisement

অনেক বাড়িতেই এই ভুলটি করে ফেলেন বাসিন্দারা। কারণ অতিথি যেখানে বসবেন না, সেটুকু নিয়ে মাথা ঘামাতে কে চায়! বাড়িকে প্রবেশের দরজা থেকে ঘরে ঢুকতে বড়জোর কয়েক সেকেন্ড, সেখানে আবার সাজগোজের কী দরকার, ভাবেন অনেকেই। কিন্তু কোথাও গিয়ে প্রথমেই যা দৃশ্যগোচর হয়, তা কিন্তু সেই জায়গা সম্পর্কে প্রাথমিক ভাবমূর্তি তৈরি করে।

কোন ভুলগুলি এড়ানো দরকার—

ছিমছাম সাজই নজর কাড়ে।

ছিমছাম সাজই নজর কাড়ে। ছবি: সংগৃহীত।

অগোছালো করে রাখা: গোছগাছের দিকে নজর রাখা দরকার। বাড়ির আনাচাকানাচে অনেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস রেখে দেন। কেউ কেউ অতিরিক্ত জিনিসপত্র রেখে জায়গাগুলি ভরিয়ে ফেলেন। প্রথমেই সেগুলি বাদ দিতে হবে। ঘরের সাজগোজে যতটা রুচির ছাপ থাকবে, অতিথি দরজা দিয়ে প্রবেশ করলে যেন সেই পরিপাট্যই প্রথম নজরে পড়ে। অল্প জিনিস থাকুক, কিন্তু তাতে যেন রুচির ছাপ স্পষ্ট হয়। বরং ছাতা থেকে জুতো, ব্যাগ রাখার জন্য এই অংশে ক্যাবিনেট রাখতে পারেন, যেখানে জিনিস গুছিয়ে রাখা যাবে। বাইরে থেকে দৃশ্যগোচর হবে না।

বসার জায়গা: বাড়িতে প্রবেশ করে অতিথি জুতো খুলবেন আবার জুতো পরেও যাবেন। এই জায়গা ছোট করে বসার জায়গায় ব্যবস্থা থাকলে ভাল। এমন ভাবে বসার জায়গা তৈরি করতে পারেন, যার ভিতরে স্টোরেজ থাকবে। যেখানে জুতো বা আনুষঙ্গিক জিনিস রাখা যাবে।

আয়না: ঘরে ঢুকেই যে জায়গা চোখে পড়ে, সেখানে সুবিধামতো বড় আয়না রাখতে পারেন। প্রথমত, সঠিক অবস্থানে আয়না থাকলে ঘরে আলোকিত লাগে। আয়নার উল্টো দিকে আলোর ব্যবস্থা করুন, যাতে সেই আলো প্রতিফলিত হয়ে ঘর উজ্জ্বল দেখায়। তা ছাড়া, আয়নায় অতিথি নিজেকে এক বার দেখেও নিতে পারবেন।

রাগ: রাগ হল গালিচার ছোট সংস্করণ। প্রবেশের মুখে সুন্দর পাপোস রাখুন। তবে মেঝেতে রাগ রাখলে ঘরের রূপ খোলে। সিঁড়িতে ওঠার মুখে বা মূল দরজা দিয়ে প্রবেশের পর চওড়া স্থান থাকলে সেখানে সুদৃশ্য রাগ রেখে দিন। নানা রকম জ্যামিতিক নকশার রাগ পাওয়া যায়। তবে ঘরের রঙের সঙ্গে তা যেন মানানসই হয়।

গাছ, অ্যাকোয়ারিয়াম: গাছপালার শখ থাকলে প্রবেশের মুখে অন্দরসজ্জায় ব্যবহারযোগ্য গাছ রাখতে পারেন। আবার প্রবেশের পরে যেখানে প্রথম চোখ যাবে, সেখানে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখতে পারেন। মাছের আনাগোনা যাতে ঢুকলেই চোখে পড়ে।

Advertisement
আরও পড়ুন